চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী কমিটি নেই প্রায় এক মাসের কাছাকাছি। এরই মধ্যে সব ধরনের খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু সংখ্যক কাউন্সিলর আসেন স্টেডিয়ামে। তবে নির্বাহি কমিটি না থাকলেও কিছু সংখ্যক তরুন কাউন্সিলর মিলে বন্যার্থদের সহযোগিতার একটি উদ্যেগ নেয়। আর সে উদ্যোগ থেকে ১৪ লক্ষ ৪ হাজার টাকা প্রধান উপদেষ্টার ত্রান তহবিলে দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার তরুণ কাউন্সিলরা। গত ২৪ আগস্ট নগরীর চট্টগ্রাম ক্লাবে সিজেকেএস এর তরুণ কাউন্সিলরা এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিল। সে মতবিনিময় সভায় হাজির হননি প্রবীণরা। অনেকেই এই সভাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছিল। তবে সে সভা থেকে বণ্যার্থদের সহযোগিতার এই ধারণাটা বেরিয়ে আসে। যা প্রবীনরা কল্পনাতেও আনতে পারেনি। সে সভায় চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর কল্লোল দাশ, সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, রায়হান উদ্দিন রুবেল, এ এস এম সাইফুদ্দিন, আকতার পারভেজ হিরু, আবু জাহেদ, ইয়াসির আরাফাত চৌধুরী পাবলু, প্রসেনজিত দত্ত রাজুরা মিলে এই বন্যার্থদের জন্য তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। পরবর্তীতে জেলা ক্রীড়া সংস্থার আরো কিছু কাউন্সিলর যুক্ত হয় এই প্রক্রিয়ার সাথে। মাত্র অল্প কয়দিনের প্রচেষ্টায় প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার একটি তহবিল জমা পড়ে । যেখানে জেলা ক্রীড়া সংস্থার ১৫৫ জন কাউন্সিলর সহায়তা করেছে। যা একটি বিরল দৃষ্টান্ত। গত ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত এই জেলা ক্রীড়া সংস্থায় ছিল এক নায়কতন্ত্র। যেখানে একজনই সবকিছু করতেন। কিন্তু দশে মিলে করি কাজে যে কি আনন্দ সেটা এতদিন বুঝতে পারেনি সিজেকেএসএর কাউন্সিলররা। তবে এবারে সেটা বুঝতে পেরেছে। তরুনদের এই কার্যক্রম প্রশংসা কুড়িয়েছে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের সর্ব মহলে। যদিও পরবর্তীতে হাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহানরা যুক্ত হয়ে কাজটাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন সুন্দরভাবে। তবে গত মঙ্গলবার ১৪ লক্ষ ৪ হাজার টাকার একটি পে অর্ডার প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলের জন্য জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই কাজের সাথে সংশ্লিষ্টরা জেলা প্রশাসকের হাতে পে অর্ডারটি তুলে দেন। জেলা প্রশাসকও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলরদের এই কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন।