নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন বিটাক মোড়ে মেয়ে সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোড়া খুনের ঘটনার প্রধান আসামি স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতা ইলিয়াছ মিঠুসহ (৪৫) ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার বাকি সাতজন হলেন আব্দুর রহিম ওরফে কার্তিক বণিক (২৯), বিপ্লব মল্লিক ওরফে মো. বিপ্লব (২৮), রবিউল ইসলাম (২০), রায়হান উদ্দিন (১৯), মো. শামীম (২৮), সাগর দাশ (২০) ও রবিউল হাসান হৃদয় (১৬)। গতকাল তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে বিপ্লব ও কার্তিক মাসুম ও সজীবকে ছুরিকাঘাত করেছেন বলে জানা যায়।
গ্রেপ্তারকৃত রবিউল ইসলাম আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন জানিয়ে পাহাড়তলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রোজিনা আক্তার বলেন, জোড়া খুনের ঘটনায় মূল হোতা ইলিয়াছসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার প্রচেষ্টাসহ মামলা তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
পাহাড়তলী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শিহাব নামে এক যুবকের বান্ধবীকে নিয়ে কটূক্তির জের ধরে সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাহাড়তলী থানাধীন জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গেটের সামনে শিহাবের সাথে তার পূর্ব পরিচিত রবিউল ইসলামের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ নিয়ে রাত ৮টার দিকে মীমাংসার জন্য স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতা ইলিয়াছ সবাইকে পাহাড়তলীর বিটাক গলিতে যেতে বলে। সবাই সেখানে গেলে প্রাথমিক আলোচনার এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে পেছন থেকে অজ্ঞাত কয়েকজন মাসুম ও সজীবের পায়ে ছুরিকাঘাত করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাদের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত মাসুমের ভাই মনির হোসেন বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে, অজ্ঞাত আরো ১০–১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর পরপরই নগর গোয়েন্দা (পশ্চিম) পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার মূল হোতা ইলিয়াছকে কঙবাজারের চকরিয়া এলাকা থেকে এবং বাকি ৭ জনকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পাহাড়তলী থানাধীন সাগরিকা বিটাক মোড়ে গ্রেপ্তারকৃত মো. ইলিয়াছের (৪৫) একটি অফিস আছে। সেই অফিসে বসে দুটি কিশোর গ্রুপকে পরিচালনা করতেন তিনি। উক্ত দুটি গ্রুপের মধ্যে মেয়েঘটিত বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। ওই ঘটনায় ছুরিকাহত হয়ে চমেক হাসপাতালে শিহাব ও মেহেদী নামে দুই ভাই ভর্তি আছে।