প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ না করলে শ্রমিকদের মজুরি বাড়ত না

তপন দত্ত

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৩০ আগস্ট, ২০২২ at ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা তপন দত্ত বলেছেন, দেশের চা শিল্পের ইতিহাসে সাম্প্রতিক আন্দোলনে শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় বিজয় অর্জিত হয়েছে। যুগের পর যুগ শ্রমিকদের নানাভাবে শোষণ করা হচ্ছিল। মাত্র ১২০ টাকা মজুরিতে ক্রীতদাসের মতো ব্যবহার করা হয় চা শ্রমিকদের। বাংলাদেশ আমল এমনকি পাকিস্তান আমলেও চা সেক্টরে এত বড় আন্দোলন হয়নি বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই আন্দোলন এবং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ না হলে শ্রমিকদের মজুরি বাড়তো না। তাদেরকে যথারীতি ক্রীতদাসের মতো শোষণ করা হতো।
চা বাগান মালিকেরা উদ্ভট এবং বিতর্কিত তথ্য উপস্থাপন করছে বলে মন্তব্য করে শ্রমিক নেতা তপন দত্ত বলেন, বাগান মালিকেরা নানা ধরনের গালগপ্প বলছেন। বলছেন যে, ১২০ টাকার সাথে নানা ধরনের সুবিধা দেয়া হয়। চাল গমসহ রেশনের উদ্ভট হিসাব এবং গল্প বলা হচ্ছে। এখানে যে কত ধরনের শুভংকরের ফাঁকি রয়েছে তার তথ্য উপাত্ত আমাদের কাছে রয়েছে। আমরা তা যথাসময়ে উপস্থাপন করবো।
তিনি বলেন, চা বাগানের মালিকেরা বিলাসী জীবনযাপন করলেও প্রতিটি বাগানে শ্রমিকদের যাপিত জীবন অত্যন্ত অমানবিক। ক্রীতদাসের মতো শোষণ করা হয় শ্রমিকদের। আর দিনের পর দিন শোষিত নির্যাতিত শ্রমিকেরা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য চেষ্টা করেছে। বাগান মালিকরা নানাভাবে তাদের দাবিয়ে রেখেছে। ইনক্রিমেন্টের নামে প্রতিবছর ১০/১৫ টাকা করে মজুরি বাড়ানো হতো। শ্রমিকেরা নিরবে তা মেনে নিতেন। এবার পরিস্থিতি ভিন্ন বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি শ্রমিক নেতা তপন দত্ত বলেন, এবার প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ৫০ টাকা মজুরি বেড়েছে। এতে শ্রমিকেরা সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, দৈনিক ৫০ টাকা মানে মাসে দেড় হাজার টাকা। এরসাথে শ্রমিকদের বোনাসসহ আনুষঙ্গিক সবকিছু বেড়ে যাবে। চা সেক্টরে কুড়ি টাকার বেশি বেতন বাড়ানোর নজির নেই বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এবারই শুধু একই সাথে ৫০ টাকা মজুরি বাড়ানোর ঘটনা ঘটলো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাস ভাড়াও কমবে জানালেন পরিবহন মালিক নেতা
পরবর্তী নিবন্ধবাড়তি মজুরি দিয়ে বাগান পরিচালনা করা কঠিন হবে