নিবন্ধের সূচনায় টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার পরিচালনায় অভূতপূর্ব সার্থক-সাফল্য-কীর্তিগাঁথায় বিশ্বপরিমন্ডলে দেশকে উঁচুমার্গের মর্যাদায় সমাসীন করার গৌরবোজ্জ্বল চতুর্থ বছর পূর্তিতে মুক্তির মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা, তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার-দলসহ সমগ্র দেশবাসীকে অকৃত্রিম শ্রদ্ধা-শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি। ৬ জানুয়ারি ২০২৩ জাতির উদ্দেশ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দেশপ্রেম-দৃঢ়চেতা-নির্ভীকতা-প্রজ্ঞার অপূর্ব সমন্বয়ে প্রদত্ত অত্যন্ত গুরুত্ব-তাৎপর্যপূর্ণ এবং তথ্যবহুল ভাষণ ছিল প্রকৃষ্ট আশাজাগানিয়া প্রোৎসাহিত মাঙ্গলিক অনুপ্রেরণার পান্ডুলিপি। ২০০৯ সাল থেকে টানা ১৪ বছর অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত তাঁর সরকার কর্তৃক দেশ ও জনগণের জন্য করা নানামুখী উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন করে দেশবাসীকে তার যথার্থ বিচার-বিশ্লেষণের আহ্বান জানান।
উক্ত ভাষণে তিনি জানান, ২০০৯ সালে স্থবির অর্থনীতিকে সচলতার প্রত্যয়ে শুরু থেকে কৃষি-জ্বালানি-বিদ্যুৎসহ বেশ কয়েকটি খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজের সূচনা করা হয়। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বেশ কয়েকটি ছোট-বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে দফায় দফায় রাসায়নিক সারের মূল্য হ্রাস করে কৃষকের ক্রয় ক্ষমতার আওতায় আনাসহ নানা পরিকল্পিত উন্নয়নের উদ্যোগ নিশ্চিত করা হয়েছিল। ‘রূপকল্প-২০২১’ এর পর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশ হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত করতে ‘রূপকল্প-২০৪১’ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে একটি টেকসই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে টিকিয়ে রাখতে ‘বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ করা হয়। রূপকল্প ২০২১ এর অন্যান্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি পূরণে সক্ষম হওয়ায় তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০০৯ সালের পূর্বের সরকারের শেষ অর্থবছরের কয়েকটি আর্থ-সামাজিক সূচকের সাথে বর্তমান অবস্থানের তুলনামূলক পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ৫৪৩ মার্কিন ডলারের স্থলে এখন তা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার। দারিদ্র্যের হার ৪১ দশমিক ৫ শতাংশের বিপরীতে বর্তমান হার ২০ শতাংশ। ২০০৫-০৬ সালে জিডিপি ও বাজেটের আকার ৬০ বিলিয়ন ডলার ও ৬১ হাজার ৫৭ কোটি টাকাকে ছাড়িয়ে ২০২১-২২ সালে হয়েছে যথাক্রমে ৪৬০ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার ও ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি খাতে ১০ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার আয় হলেও, ২০২১-২২ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলারে এবং উল্লেখ্য বছরগুলোতে বিদেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৪ দশমিক ৮০ ও ২২ দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলার। চলমান বৈশ্বিক মহামন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে কানাডার অনলাইন প্রকাশনা সংস্থা ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্টে গত ২৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত বিশ্বের ৫০টি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার জিডিপি নিয়ে ৩৫ তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। ২০২১ সালে ৩৯৭ বিলিয়ন ডলারের জিডিপির আকারে এই অবস্থান ছিল ৪১তম।
আমাদের সকলের জানা, বর্তমান সরকারের সময়কালে সাফল্য পাওয়া খাতগুলোর অন্যতম হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। বিগত দশকে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিস্ময়কর পরিবর্তন-আধুনিক চিন্তাচেতনার প্রতিফলন-তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর নির্মাণ কৌশল দারুণভাবে পরিলক্ষিত। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় গত ১৪ বছরে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব সাফল্যে নতুন মাইলফলক নির্মিত হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ গৌরব ও সক্ষমতার প্রতীক নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতুসহ বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু, তিস্তা সেতু, পায়রা সেতু, দ্বিতীয় কাঁচপুর-মেঘনা-গোমতী সেতুসহ শত শত সেতু, সড়ক, মহাসড়ক নির্মাণ-পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, উড়াল সড়ক, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে প্রায় সাড়ে তিন কিমি দৈর্ঘ্যের দেশের প্রথম সুড়ঙ্গপথ বঙ্গবন্ধু ট্যানেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে। ঢাকায় হানিফ ফ্লাইওভার, তেজগাঁও-মগবাজার-মালিবাগ ফ্লাইওভার, বনানী ফ্লাইওভার, আহসানউল্লাহ মাস্টার ফ্লাইওভার, চট্টগ্রামে আক্তারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার ও বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারসহ বহুসংখ্যক ছোট-বড় ফ্লাইওভার নির্মাণ দেশের যোগাযোগব্যবস্থা অধিকতর সমৃদ্ধ করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক একই দিনে দেশজুড়ে নভেম্বর মাসে ১০০টি সেতু ডিসেম্বর মাসে ১০০ সড়কের উদ্বোধন দেশের উন্নয়ন ইতিহাসে অনন্য অর্জনের সুখ্যাতি লাভ করেছে। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮০ কিমি মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের মধ্য দিয়ে উন্নত দেশগুলোর মতো সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থার নেটওয়ার্কে এসেছে বাংলাদেশ।
দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়ক, অর্থনীতির লাইফ লাইনখ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম ১৯০ কিলোমিটার মহাসড়ক, প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ইটনা-মিঠামাইন-অষ্টগ্রাম, ঢাকা-গাজীপুর-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল সড়ক চার লেনে উন্নীত করার সাথে সাথে এলেঙ্গা-রংপুর মহাসড়ক, আরিচা মহাসড়ক এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এয়ারপোর্ট থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আগামী বছর যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
সমগ্র বাংলাদেশকে রেলের আওতায় নিয়ে আনতে বর্তমান সরকার কর্তৃক যোগাযোগের অন্যতম সহজ ও নিরাপদ মাধ্যম রেলপথ সম্প্রসারণ-আধুনিকায়নের উদ্যোগ সর্বত্রই সমাদৃত। দক্ষিণাঞ্চলে রেলের পরিধি বৃদ্ধিকরণে পদ্মা সেতুতে রেলের ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে খুলনা পর্যন্ত এবং চট্টগ্রাম হতে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্থাপনের কাজ পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে। পরবর্তীতে পদ্মা সেতু ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ পর্যন্ত রেলপথ তৈরির জন্য সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশাপাশি পৃথক রেল সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। রেলপথ সম্প্রসারণ, নতুন রেলপথ নির্মাণ ও সংস্কার, রেলপথকে ডুয়েল গেজে রূপান্তরকরণ, নতুন ও বন্ধ রেল স্টেশন চালু, নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু-বৃদ্ধি এবং ট্রেনের নতুন কোচ সংগ্রহ অব্যাহত রয়েছে।
জাতীয় স্বাস্থ্যনীতির প্রণয়ন বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জন। বর্তমানে প্রায় ১৮ হাজার ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে দেশব্যাপী বিস্তৃত স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। উপজেলা ও জেলাপর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে শয্যাসংখ্যাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি হৃদরোগ, কিডনি, লিভার, ক্যান্সার, নিউরো, চক্ষু, বার্ণ, নাক-কান-গলাসহ বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল স্থাপিত হয়েছে। প্রতিটি জেলায় ন্যূনতম একটি করে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সব হাসপাতালে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্যখাতসহ সামাজিক খাতসমূহে অধিক বিনিয়োগের অপরিহার্যতায় সরকার সংশ্লিষ্ট খাতে বাজেট বরাদ্দ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করেছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষির আধুনিকায়ন, নতুন নতুন উদ্ভাবন এবং সার উৎপাদন-আমদানিতে সরকারি ভর্তুকি দেওয়ার ফলে দেশ কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বে ধান, সবজি ও মাছ উৎপাদনে যথাক্রমে তৃতীয় ও ১ম অবস্থানে রয়েছে।
বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে চার বার সারের দাম কমানো, ১ কোটি কৃষকের ১০ টাকার বিনিময়ে ব্যাংক হিসাব খোলা, সেচের জন্য সূলভ মূল্যে বিদ্যুৎ এবং কৃষিযন্ত্র ক্রয়ে ৭০ শতাংশ ভর্তুকি, ভুর্তুকির টাকা সরাসরি কৃষকের ব্যাংক হিসাবে জমাদান ও প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ কৃষককের মাঝে উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণের মতো যুগান্তকারী পদক্ষেপের ফলে কৃষিতে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। কৃষিপণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে তোলার উদ্যোগ এবং কৃষি উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনা হচ্ছে। স্বল্প-সীমিত আয়ের মানুষদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে প্রায় এক কোটি পরিবার টিসিবি’র ফেয়ার প্রাইস কার্ডের মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও সাশ্রয়ীমূল্যে ভোজ্যতেল, ডাল ও চিনি ক্রয় করতে পারছে। ৫০ লাখ পরিবার ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি চাল এবং সহায়-সম্বলহীন মানুষদের ভিজিডি ও ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে প্রতিমাসে ৩০ কেজি চাল বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।
বর্তমান সরকারের অন্যান্য উন্নয়ন সাফল্যগাথায় রয়েছে রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, মহাকাশে নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ, দীর্ঘদিনের সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে পাহাড়ে শান্তি স্থাপন, ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানিবন্টন চুক্তি, ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে গ্রামের জনগণকে শহরের সব নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ, গ্রামেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার সম্প্রসারণ, প্রায় ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর প্রদান, ২ কোটি ৫৩ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি-উপবৃত্তি প্রদান, বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে প্রায় ৩৪ কোটি বই বিতরণ, ভারতের সঙ্গে স্থলসীমানা চুক্তি কার্যকরণে সিটমহলবাসীর ৬৮ বছরের বন্দি জীবনের অবসান, আইনি প্রক্রিয়ায় ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমানার শান্তিপূর্ণ মীমাংসার মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরের ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সামুদ্রিক এলাকার উপর সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা, ১২ লাখের মতো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরসহ প্রায় সকল ক্ষেত্রেই সমৃদ্ধির সোপান রচনা করেছে। স্বল্প পরিসরে এর বিশদ বিবরণ অনেকটুকু দুরূহ ব্যাপার। অতিসম্প্রতি মহান জাতীয় সংসদে সংসদ নেতার ভাষণে জনগণকে সকল উস্কানি-বিভ্রান্তি-মিথ্যাচার-কদাচার-জঙ্গি-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে দেশের অগ্রগতিকে ব্যাহত করার চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে জনগণকে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনায় ঋদ্ধ হয়ে দৃঢ়চিত্তে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান দেশবাসীকে অধিকমাত্রায় অনুপ্রাণিত-প্রণোদিত করেছে – এজন্যও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সবিশেষ অজস্র কৃতজ্ঞতা।
লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়












