প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া পরিচয়ে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। তার নাম গিয়াস উদ্দিন কবির (৩৯)। তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
গত শনিবার রাত ২টা ৫ মিনিটে সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের সিনিয়র সহকারী উপ-পুলিশ কমিশনার (এসি) ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপের নেতৃত্বে কুমিল্লা জেলায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অপরাধের কথা স্বীকার করেন।
সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অজ্ঞাত এই প্রতারক চক্র বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ ও মোবাইল নম্বর থেকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়ার পরিচয় ধারণ করে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী, বিভিন্ন জেলা প্রশাসক ও পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে টাকা দাবি করে। এ চক্র একই কায়দায় কুমিল্লা জেলার অ্যাডভোকেট কামাল হোসেনের কাছ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তিকে চাকরি বা ভালো জায়গায় পোস্টিং দেওয়ার কথা বলে টাকা দাবি করে। দাবি করা টাকা দিতে অস্বীকার করলে ভিকটিমকে ভয়-ভীতি ও সামাজিকভাবে হেয় করার হুমকি দিত। সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে উক্ত চক্রকে শনাক্ত করে গতকাল কুমিল্লা থেকে তাকে গেপ্তার করা হয়।
এ ব্যাপারে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আমার নাম ব্যবহারের অভিযোগ শুনে মাননীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রী বিষয়টি আমাকে জানান। আমি তাৎক্ষণিকভাবে তা পুলিশকে জানাই। পুলিশ ট্র্যাক করে এই প্রতারককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। প্রতারক চক্রের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে এবং এমন কল পেলে তাকে বা আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর অনুরোধ জানান তিনি।
