প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ‘শালীনতা বিবর্জিত’

সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ফখরুলের প্রতিক্রিয়া

আজাদী অনলাইন | রবিবার , ৪ জুলাই, ২০২১ at ৬:০৭ অপরাহ্ণ

জাতীয় সংসদে বিএনপি, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ‘অনভিপ্রেত ও রাজনৈতিক শালীনতা বিবর্জিত’ বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ রবিবার (৪ জুলাই) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। তিনি আইনমন্ত্রীরও সমালোচনা করেন। বিডিনিউজ
ফখরুল বলেন, “সংসদে সংসদ নেতা হিসেবে শেখ হাসিনার বক্তব্য অনভিপ্রেত এবং রাজনৈতিক শালীনতা বিবর্জিত। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটা রুচিহীন ও কল্পকাহিনী ছাড়া আর কিছুই নয়। িসংসদ নেতা তার মনগড়া কল্পকাহিনীর মধ্য দিয়ে একজন মহান মুক্তিযোদ্ধা, গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী এবং জনগণের আস্থাভাজন প্রিয় নেতাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চেয়েছেন।”
ফখরুল বলেন, “এ ধরনের বক্তব্য সংসদ নেতার কাছ থেকে জাতি আশা করে না। আমরা মনে করি, সংসদ নেতার এই ধরনের মন্তব্য খারাপ নজির স্থাপন করেছে। এই ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্যের জবাবে ফখরুল বলেন, “দেশনেত্রীর পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে বাসভবনে সাময়িকভাবে স্থানান্তরের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা প্রশাসনিক নির্দেশ। আইনের কোথাও একথা বলা হয়নি যে সরকার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিতে পারবে না।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যে আইনের বলে তারা নির্দেশ দিয়েছেন, আবার নতুন নির্দেশে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে সরকার পারেন।”
বিএনপি থেকে অনেকে আওয়ামী লীগে যোগাযোগ করছে-ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল বলেন, “এগুলো তাদের দিবাস্বপ্নের মতো।”
বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা চালিয়েও ক্ষমতাসীনরা সফল হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, “বিএনপি একটা বহমান নদী। এখানে কখনও কখনও খড়কুটো এসে পড়ে, আবার খড়কুটো ভেসে চলে যায়। তাতে বিএনপির কোনো ক্ষতি হয় না।”
সংবাদ সম্মেলনে গতকাল শনিবার (৩ জুলাই) দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
কোভিড-১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “অপরিকল্পিত লকডাউন, কঠোর লকডাউনের ফলে প্রায় ২ কোটির উপরে মানুষ দরিদ্র হয়েছে, কর্মচ্যুত হয়েছে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক। দেশে অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক ৮৫ শতাংশ। সংখ্যায় ৫ কোটিরও বেশি প্রকৃত অর্থে কর্মহীন। প্রায় ১৫ মাস সময় নিয়েও সমস্যাগুলো সমাধান করতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিৎ।”
অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক ও প্রান্তিক মানুষদের জন্য এককালীন ১৫ হাজার টাকা দিতে সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।
আকস্মিক বন্যায় বীজতলা ধ্বংস হওয়ায় কৃষকদের বীজ সরবরাহেরও দাবি জানান ফখরুল।
তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় কোভিড-১৯ টিকা নিশ্চিতের দাবি জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনাক্রান্ত হয়ে হাটহাজারীর রেমিট্যান্সযোদ্ধার মৃত্যু ওমানে
পরবর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ার সেই ইউএনও ওএসডি