প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে বিদ্যুৎ-জ্বালানির ৭ প্রস্তাব

| শুক্রবার , ৫ জুলাই, ২০২৪ at ৭:১৪ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন চীন সফরে মহেশখালী থেকে একটি গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সাতটি প্রকল্পে অর্থায়নের প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা পরিকল্পনা করেছি, মহেশখালী থেকে একটি এলএনজি পাইপ লাইন নির্মাণের প্রস্তাব থাকবে আমাদের। এখন দৈনিক ৩৫০০ এমএমসিএফ গ্যাসের চাহিদা থাকলেও আগামী ৫ বছরের মধ্যে তা ৬০০০ এমএমসিএফডি হয়ে যাবে। সে কারণে আমদানি ও দেশীয় যোগান থেকে এটা মেটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। খবর বিডিনিউজের।

২০২৭ সালের মধ্যে দেশে কোনো গ্যাস সংকট থাকবে নাএমন আশার কথা শুনিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সময়ের মধ্যে আমরা ১৪৬টি কূপ খনন করব। সেজন্য অনশোর বিডিংয়ের একটি পিএসসি প্রস্তুত করা হচ্ছে। আমরা আরও কিছু পরিকল্পনা নিয়েছি। এর অংশ হিসেবে আমরা চীনকে গ্যাস পাইপ লাইনের প্রস্তাব দিচ্ছি।

জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে চীন সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। আর এ মাসেই নেপালের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করা হবে বলে জানান নসরুল হামিদ।

সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়, নতুন অর্থবছরের বাজেটে জ্বালানি খাতে এক হাজার ৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জ্বালানি বিভাগের নিজস্ব অর্থ থেকে গ্যাস ও তেল কেনা হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগে ২৯ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এসব বরাদ্দ থেকে উত্তরবঙ্গের সৈয়দপুর পাওয়ার প্লান্টসহ আরও কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরে দুইবার বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। আবারও সময় মত দাম সমন্বয় করা হবে। সরকার গত বছর বিদ্যুতে যে ভর্তুকি রেখেছিল তা মোটামুটি বন্ড ইস্যু করে ও অন্যান্যভাবে পূরণ করা গেছে। গত বছরের বাকি টাকাটা পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।

নবায়নযোগ্য জ্বালানির হিস্যা বাড়ানোর পক্ষে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, এটা ১০ শতাংশ করা আমাদের মূল টার্গেট। (মোট উৎপাদন) ২৬ হাজার ধরলে (রিনিউয়েবলে) ২৬০০ মেগাওয়াট লাগবে। এখন ৪০০ মেগাওয়াটের মত হচ্ছে। আড়াই হাজার মেগাওয়াটের এলওয়াই দিয়েছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমিয়ানমারে সংঘাত : বিকট বিস্ফোরণে টেকনাফে আতঙ্ক
পরবর্তী নিবন্ধপা পিছলে স্রোতে ভেসে যাওয়া স্কুলছাত্রের মরদেহ দুই দিন পর উদ্ধার