টেকনাফের মৌলভীবাজার এলাকায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নির্মাণ করা ঘরগুলো বন্টনে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ এনে এক মৎস্যজীবী নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
গত সোমবার রাতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সিফাত বিন রহমান বাদি হয়ে মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আসামি করে টেকনাফ থানায় মামলাটি করেন। জাহাঙ্গীর বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির হ্নীলা মৌলভীবাজার ২ নং ওয়ার্ডের সভাপতি। তিনি হ্নীলার মৌলভীবাজারের আজিজুল হকের ছেলে।
টেকনাফ থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান জানান, এক সরকারি কর্মকর্তা বাদি হয়ে প্রতারণার অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। এর আগে টাকা ছাড়া মিলছে না প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর এমন নিউজের বক্তব্য নিতে গিয়ে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
২১ জানুয়ারি ঘটনাটি তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে উপজেলা প্রশাসন। তদন্ত শেষে গত সোমবার চার পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন উপজেলা প্রশাসনকে জমা দেয় কমিটির আহ্বায়ক হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী।
এবিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নিয়ে দুর্নীতির বিষয়টি আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত করেছি। অভিযোগগুলোর সত্যতা পেয়েছি। প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। টেকনাফের ইউএনও মো. সাইফুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর হস্তান্তর নিয়ে টাকা নেয়ার বিষয়টি নজরে আসলে তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তারই সুত্রে ধরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শেষে থানায় একটি মামলা করা হয়।
