প্রধানমন্ত্রীকে সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের ধন্যবাদ

জয় বাংলা জাতীয় শ্লোগান ও সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু

| রবিবার , ৬ মার্চ, ২০২২ at ৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ

‘জয় বাংলা’ জাতীয় শ্লোগান ঘোষণা ও সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রবর্তনে নির্দেশ প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে চট্টগ্রামের এ রাজনীতিবিদ বলেন, আমরা গর্ব করে বলতে পারি যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা উন্নয়নের অগ্রদূত, মানবতার জয়রথের সারথী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদের প্রধানমন্ত্রী।
বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য তাঁর পিতা জীবন ও যৌবন উৎসর্গ করেছিলেন। বাংলার গণমানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চেয়েছিলেন তিনি। পাকিস্তানের শোষন-নিপীড়ন ও বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্তি দিতে দীর্ঘ রাজনৈতিক কর্মসূচি ও আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার পথ দেখিয়েছিলেন। জয় বাংলা শ্লোগান ছিল সাহস, প্রেরণা ও ঐক্যের মন্ত্র। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দীপ্ত করে রাখত। আজ বঙ্গবন্ধুকন্যার নির্দেশনায় বাঙালির প্রাণের শ্লোগান, মুক্তির মহামন্ত্র ‘জয় বাংলা’ জাতীয় শ্লোগান হিসেবে প্রজ্ঞাপিত হওয়ায় আমরা জাতি হিসেবে অত্যন্ত আনন্দিত। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে জাতি হিসেবে আমাদেরকে অন্ধকার কূপে নিক্ষিপ্ত করেছিল কুলাঙ্গারেরা। দীর্ঘ ২১বছরের অন্ধকারের বুক চিড়ে ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে আলোর পথে ফিরতে শুরু করে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই জয় বাংলা শ্লোগানকে বুকে ধারণ করে রাষ্ট্র পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু যে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলেছিলেন, তা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুকন্যা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে বঙ্গবন্ধুকন্যা বিভিন্ন ধরণের ভাতা প্রচলন করে সামাজিক নিরাপত্তামূলক নানামুখী কর্মসূচি চালু করেন। ২০০৯ সালে পুনরায় সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনা পর্যায়ক্রমে তাঁর গৃহিত সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতা বাড়িয়ে দারিদ্র হ্রাসকরণে বিশ্বের কাছে অভাবনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। সমপ্রতি দেশের ষাটোর্ধ প্রবীণ ব্যাক্তিদের জন্য একটি সর্বজনীন পেনশন আইন তৈরীর নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থ মন্ত্রনালয় ইতিমধ্যেই প্রবীণদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুকরণের কৌশলপত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট পেশ করেছেন এবং তিনি এর উপর বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে বঙ্গবন্ধুকন্যা একদিকে যেমন মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির বহি:প্রকাশ ঘটিয়েছেন, তেমনি সর্বজনীনভাবে সামাজিক সুরক্ষা বলয় তৈরী করতে তাঁর সরকারের সদিচ্ছার বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
এখন প্রায়শই দেখা যায়, সমাজে বয়স্ক লোকদের বোঝা হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। মানুষের গড় আয়ু বাড়ার কারণে প্রবীণদের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, বিপরীতে নগরায়নের ফলে প্রবীণদের আর্থিক ও সামাজিকভাবে নিরাপত্তাহীন হওয়ার ঝুঁকিও দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। দেশে এখন ষাটোর্ধ ব্যাক্তির সংখ্যা প্রায় এক কোটি। তার মধ্যে অধিকাংশই নানা রকমের মানবিক সমস্যায় জর্জড়িত।
পেটের দায়ে অনেক বৃদ্ধকেই ভিক্ষা করতে কিংবা অন্যের দয়া প্রার্থনা করতে দেখা যায়। শারীরিক সক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও প্রবীণদের অনেককেই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত হতেও দেখা যায়। হতাশার মধ্যে এবং রোগ-শোকে ভুগে কোন সেবা ও সাহচার্য ছাড়াই দিন কাটায় দেশের প্রবীণদের বিরাট একটি অংশ। তাই প্রবীণদের শেষ জীবনে আর্থিক সুরক্ষায় সার্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তন জাতির জনকের কন্যার একটি মানবিক ও যথোপযুক্ত পদক্ষেপ। বয়সকালে সবাই যেন আর্থিক এবং সামাজিক সুরক্ষা পান, সেজন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করার মহতী উদ্যোগ শেখ হাসিনার মহানুভবতার অনন্য এক উজ্জল দৃষ্টান্ত। চট্টগ্রামের জনসাধারণ ও আমার ব্যাক্তিগত পক্ষ হতে প্রধানমন্ত্রীকে জানাই অকৃপনণ শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবইমেলায় ‘শিশু-কিশোর জগৎ’
পরবর্তী নিবন্ধযুক্তরাজ্যকে রাশিয়ার হুমকি