দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও ভর্তুকিমূল্যে খামারিদের গো-খাদ্য সরবরাহের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ডেইরি ফার্মার্স এসোসিয়েশন। গত শনিবার শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনটির কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় ডেইরি ফার্মার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইকবাল হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ডেইরি খামারিরা দেশের জনগণের জন্য নিয়মিত খাঁটি দুধ ও মাংস উৎপাদন করে যাচ্ছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ইতিমধ্যে আমাদের দেশের চাহিদার ৬৭% দুধ ও মাংস উৎপাদনের প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বিভিন্ন সময়ে মজুদদারদের দ্বারা সারাদেশে গো-খাদ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এতে করে ডেইরি খামারের ৭০ ভাগ খরচ হয় খাদ্য বাবদ। ফলে গো-খাদ্যের দাম সামান্য বাড়লেও তা ডেইরি খামারিদের জন্য অনেক বড় বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, চলমান কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রথম দিকে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে চট্টগ্রামে গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেলে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নির্দেশে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর চট্টগ্রাম ও জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের উদ্যোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে দ্রুততার সাথে সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কিন্তু বর্তমানে গো-খাদ্যের প্রায় ২৪.৪২ শতাংশ দাম বৃদ্ধি হয়েছে। যা কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত ডেইরি খামারিদের উপর মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোন কোন আইটেমের দাম ৪১% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই গো-খাদ্যের এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ও সহনীয় মূল্যে খামারিদের গো-খাদ্য পাওয়ার নিশ্চয়তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদানের অনুরোধ জানান সংগঠনের নেতারা।