প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে ঘর-জমি পেল টেকনাফের কিশোর মামুন

জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, টেকনাফ | সোমবার , ৭ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৬:৪৯ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে জমিসহ টিনশেড ঘর উপহার পেয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কেরুনতলী এলাকার দিনমজুর রমজান আলীর ছেলে মামুন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আজ সোমবার (৭ ডিসেম্বর) টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কেরুনতলীর মো. মামুনকে খাস জমি বন্দোবস্ত ও গৃহ প্রদান করেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। এ সময় পরিবারের অসহায়ত্ব দূর করতে একটি ইজিবাইক (টমটম) উপহার দেওয়ার ঘোষণাও দেন জেলা প্রশাসক।
এতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল মনসুর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর, হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী, হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলি প্রমুখ।
ঘর পেয়ে কিশোর মামুন বলেন, “অষ্টম শ্রেণী পাস করার পর টাকার অভাবে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। তবে লেখাপড়া করতে না পারলেও ডিজিটাল প্রযুক্তির বদৌলতে মোবাইল-ফেসবুকের অনেক কিছুই জানা আছে। সেই সূত্রেই ঘরবাড়ি চেয়ে ক্ষুদে বার্তায় প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন হই। পরে ক্ষুদে বার্তায় সাড়া পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে খোঁজখবর নেয়া হয়। অবশেষে আজ (সোমবার) আনুষ্ঠানিকভাবে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক। অবিশ্বাস্যও হলে সত্য একটি ক্ষুদে বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের স্বপ্ন পূরণ করলেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই এবং তিনি শত বছর বেঁচে থাকার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করি।”
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, “একটি ক্ষুদে বার্তাও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি যার উৎকৃষ্ট প্রমাণ সীমান্ত টেকনাফের মামুন। যার একটি বার্তা তার জীবন পাল্টে দেয়। এতে প্রমাণিত হয় দেশের প্রধানন্ত্রী তৃণমূলের খোঁজখবর রাখেন এবং যত দূর সম্ভব দুঃখ লাঘব করে মানুষের প্রয়োজন মেটাতে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।”
তিনি বলেন, “গৃহহীন-ভূমিহীন জনগোষ্ঠীর আশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় শত শত পরিবারকে ভূমি এবং গৃহ দিয়ে পুনর্বাসিত করা হচ্ছে।”
এদিকে জেলা প্রশাসক মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে টেকনাফের হ্নীলায় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ‘আশ্রয়ণ-২’ প্রকল্পের ২৮টি ঘরে নির্মাণ কাজ পরিদর্শন, সীমান্ত সড়ক, কর্মসৃজন প্রকল্প, মানসিক রোগী ও অসহায় মানুষদের শীত বস্ত্র বিতরণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাবুনগরী-মামুনুলদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা
পরবর্তী নিবন্ধওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন দিতে আরো ৩০ দিন সময় চেয়েছে পিবিআই