অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে গেছে। গতকালের ধার্য দিনে তাদের আইনজীবীর করা আবেদনের প্রেক্ষিতে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহমুদুল হক আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, চার্জগঠনের বিরুদ্ধে প্রদীপের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে একটি আবেদন করা হয়েছে। সে বিষয়ে এখনো আদেশ হয়নি। যার কারণে তারা সাক্ষ্যগ্রহণ না করতে আদালতের কাছে আবেদন করলে বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ তা মঞ্জুর করেন এবং আগামী ধার্য তারিখে উচ্চ আদালত কী আদেশ দিয়েছেন তা উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। সেদিন যদি তারা আদেশের কপি উপস্থাপন করতে না পারে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে যাবে।
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ-চুমকির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ এবং প্রথম দফায় মামলার বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ। আদালতসূত্র জানায়, গত বছরের ৭ নভেম্বর মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে প্রদীপ-চুমকির এ মামলা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারের জন্য বদলি করা হয়। এর আগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর প্রদীপ-চুমকির বিরুদ্ধে দুদকের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত। তারও আগে গত বছরের ২৮ জুলাই আদালতে চার্জশীট দাখিল হয়। যেখানে ২৯ জনকে সাক্ষী রাখা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজউদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬ (২) ধারা, ২৭ (১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪ (২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারাসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশে একে অপরের সহযোগিতায় অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩ কোটি ৯৫ লাখ, ৫ হাজার, ৬৩৫ টাকার সম্পদ জ্ঞাতসারে ভোগ দখলে রেখেছেন।












