প্রদীপ-চুমকির অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলার রায় আজ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৭ জুলাই, ২০২২ at ৩:১৯ পূর্বাহ্ণ

টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ। চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ এ রায় ঘোষণা করবেন। ১৯ মাস আগে দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয় প্রদীপ ও চুমকি বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট চারটি অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন। এ বিষয়ে দুদক পিপি মাহমুদুল হক আজাদীকে বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন, ক্ষমতার অপব্যবহার, মানি লন্ডারিংয়ের মতো অপরাধ করেছেন প্রদীপ। তাকে সহযোগিতা করেছেন তার স্ত্রী চুমকি। এ জন্য আমরা প্রদীপ ও চুমকির যাতে সর্বোচ্চ সাজা হয় সে জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছি।
তিনি বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের জন্য সর্বনিম্ন ৩ বছর ও সর্বোচ্চ ১০ বছর, তথ্য গোপনের জন্য সর্বোচ্চ ৩ বছর, ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য সর্বোচ্চ ৭ বছর, মানি লন্ডারিংয়ের জন্য সর্বনিম্ন ৪ বছর ও সর্বোচ্চ ১২ বছরের সাজা দেয়ার বিধান রয়েছে।
গত ১৮ জুলাই অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় প্রদীপ চুমকির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক কার্যক্রম শেষ হয়। সেদিন আদালত রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিনটি নির্ধারণ করেন।
আদালত সূত্র জানায়, এ মামলায় গত ২০ জুন রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক এবং গত ১২ জুন সাফাই সাক্ষ্য শেষ হয়। এর আগে গত ৬ জুন প্রদীপ-চুমকিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় পরীক্ষা করা হয়। এ সময় তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। তারও আগে গত ২৯ মে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আসামি পক্ষের আইনজীবীর জেরা করার মাধ্যমে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শেষ হয়। মামলায় মোট সাক্ষ্য দিয়েছেন ২৪ জন।
দুদকের এ মামলায় শুরু থেকে পলাতক থেকে গত ২৩ মে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারণ। আদালত এ আবেদন নাকচ করে দিয়ে ওইদিন তাকে কারাগারে পাঠায়। অন্যদিকে মামলার প্রধান আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ঘটনার পর থেকে কারাগারে আছেন। টেকনাফের মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গেলে পরে এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদক, চট্টগ্রাম কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে প্রদীপ চুমকির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
মামলাটির তদন্তও করেন দুদক কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত বছরের ২৮ জুলাই প্রদীপ-চুমকির বিরুদ্ধে আদালতে তিনি চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে বলা হয়, সম্পদ বিবরণীতে ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেওয়া এবং ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত অর্জন এবং হস্তান্তরের অপরাধ করেছেন প্রদীপ-চুমকি। নগরীর পাথরঘাটায় একটি ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরে সেমিপাকা ঘর, ৪৫ ভরি সোনার গয়না, একটি করে কার ও মাইক্রোবাস এবং কঙবাজারে ফ্ল্যাট রয়েছে প্রদীপের, অভিযোগপত্রে এসবও উল্লেখ করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ, শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত
পরবর্তী নিবন্ধব্যাংক খাতে বড় বড় অপরাধ হচ্ছে : হাইকোর্ট