অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেছে আদালত। যেখানে কারাদণ্ড, জরিমানার পাশাপাশি দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেসব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেগুলো হলো- কোতোয়ালী থানাধীন পাথরঘাটার ছয়তলা বাড়ির দুটি কক্ষ, পাঁচলাইশ থানাধীন পশ্চিম ষোলশহরে অবস্থিত ১ কোটি ৩৯ লাখ ৯২ হাজার ৬০০ টাকার জমি, তার উপর নির্মিত ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৪৫৯ টাকা মূল্যমানের সেমিপাকা ঘর, কক্সবাজারের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ঝিলংজা ভবনের ১১ তলায় অবস্থিত ১২ লাখ ৫ হাজার ১৭৪ টাকার ফ্ল্যাট, চট্ট মেট্রো চ-১১-৬১১১ সিরিয়ালের ২২ লাখ ৮২ হাজার টাকা মূল্যমানের একটি মাইক্রোবাস ও চট্ট মেট্রো ঘ-১১-৯২৩১ সিরিয়ালের একটি প্রাইভেটকার। গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ এ নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে দুদক পিপি মাহমুদুল হক আজাদীকে বলেন, প্রদীপের স্ত্রী গৃহিণী হয়েও বনে যান মৎস্য চাষী। কমিশন ব্যবসায়ী না হয়েও দাবি করেন কমিশন ব্যবসায়ী। শ্বশুরের দান করা বাড়ি বললেও পাথরঘাটার বাড়ি প্রদীপেরই। অনিয়ম, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি এসব অর্জন করেছেন। আমাদের দাবি ছিল সম্পদগুলো বাজেয়াপ্ত করার। আদালত আমাদের দাবি আমলে নিয়েছেন এবং বাজেয়াপ্ত করেছেন।