অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ের বৃহৎ প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টমসে চলতি ২০২৪–২০২৫ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই–ডিসেম্বর) রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪১ হাজার ৫২৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় লক্ষ্যমাত্রার প্রবৃদ্ধির বেড়েছে ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। তবে চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে প্রবৃদ্ধি কমেছে ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার হিসেবে ৫ হাজার ৬২১ কোটি টাকা।
কাস্টমস কর্তারা বলছেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার তৎপরতা বাড়ানোর কারণে মিথ্যা ঘোষণা কমে গেছে। তাই গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। তবে অর্থবছরের শুরুতে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং উচ্চ শুল্কের আমদানি পণ্য কমে যাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে রাজস্ব আদায় হয়নি। চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টমসে ২০২৪–২০২৫ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৩ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জুলাই মাসে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা, তবে আদায় হয় ৬ হাজার ৩১১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এছাড়া আগস্ট মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৬ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা, আদায় হয় ৬ হাজার ৪২ কোটি ১১ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা, আদায় হয় ৬ হাজার ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা, অক্টোবর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা, আদায় হয় ৬ হাজার ৬১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। নভেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা, আদায় হয় ৫ হাজার ২৫৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং ডিসেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা, আদায় হয় ৫ হাজার ১০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ডলারের দাম বাড়ার কারণে অনেক ব্যবসায়ী আমদানির এলসি (ঋণপত্র) খোলার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে সামগ্রিক আমদানিতে প্রভাব পড়েছে। এছাড়া গত দুই তিন মাস ধরে উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানি কমেছে। এছাড়া কিছু কিছু পণ্যের শুল্ককর প্রত্যাহারের কারণে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী হয়নি।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ–কমিশনার সাইদুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, আসলে প্রতি অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়। কিছু কিছু কারণে এই ছয় মাসে আমরা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। তবে গত অর্থবছরের ছয় মাসের হিসেবে রাজস্ব আদায় কিন্তু বেড়েছে। আশা করি অর্থবছরের বাকি ৬ মাস রাজস্ব আদায়ে ইতিবাচক ধারা থাকবে।