বাঁশখালী পৌরসভা প্রথম শ্রেণির স্বীকৃতি পেলেও নাগরিকরা সুবিধাবঞ্চিত। অধিকাংশ সড়ক চলাচলে অনুপযোগী। যে কয়টি সড়ক সংস্কারে কাজ শুরু হয়েছে, তাও দীর্ঘদিনে শেষ হয়নি নানা অজুহাতে। এতে পৌরসভাবাসীদের যেন দুর্ভোগের শেষ নেই। এদিকে, পৌরসভার তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আস্করিয়া সড়কটির নির্মাণকাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে শেষ হয়নি সড়ক সংস্কারের কাজ। সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ফলে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
২০০২ সালে গঠিত বাঁশখালীর জলদী ইউনিয়নকে আলাদা করে তৈরি হয় বাঁশখালী পৌরসভা। সি গ্রেড থেকে বর্তমানে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা ঘোষণা হলেও এখানে বসবাসকারী অর্ধলক্ষাধিক মানুষ নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত। সামান্য বৃষ্টি হলে অনেক এলাকা পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়। অধিকাংশ সড়ক কাঁচা সড়ক এমনকি পূর্বদিকের পাহাড়ি কয়েক এলাকায় সাঁকো নিয়ে ও পারাপার করতে হয়। ২০২৪ সালে ৫ আগস্টের পর থেকে পৌরসভার মেয়র তোফাইল বিন হোসাইন অনুপস্থিত থাকার কারণে পৌর প্রশাসক হিসাবে বেশ কয়েকজনের হাত গড়িয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামশেদুল আলম।
জানা যায়, ২০২৪ সালের প্রায় ১৩ কোটি টাকার টেন্ডারে আস্ককিয়া সড়কের কাজটি পেয়েছিল ইউনুস এন্ড ব্রাদারস লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। একবছর মেয়াদের এ কাজটি শেষ না হওয়া এবং ভোগান্তি বাড়াতে গত ২৪ আগস্ট পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামশেদুল আলম সরেজমিনে সড়কটি পরিদর্শন করে ঠিকাদারকে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু সড়কের তেমন কোনো পরির্বতন হয়নি। সড়কটি পড়ে আছে ঠিক আগের মতোই। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পায়ে হেঁটে চলাও দুস্কর হয়ে পড়ে। অথচ এ সড়কে স্কুল–কলেজ, সরলের কাহারঘোনা, মিনজীরিতলা গামীসহ নানা শ্রেণির শত শত মানুষ প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে।
পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, বৃষ্টির কারণে ঠিকাদারেরা ঠিকমতো কাজ করতে পারেনি। বৃষ্টি কমে গেলে পুনরায় সড়কটির কাজ শুরু করা হবে। কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা জানালে তিনি বলেন, বিভিন্ন জটিলতার কারণে ঠিকাদার পুরোদমে কাজ করতে পারেনি। ঠিকাদারদের সাথে কথা হয়েছে শীঘ্রই তারা কাজ সম্পন্ন করবে।
ওসমান গনি মুজাহিদ নামে এক যুবক বলেন, বাঁশখালী পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের রাস্তার উন্নয়নের জন্য নিজ উদ্যোগে আমার বাড়ির এরিয়ার বেষ্টনী উঠিয়ে ছিলাম রাস্তার কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করার জন্য। ঠিকাদার কিছু কাজ করে এরপর কাজ বন্ধ রাখায় বর্তমানে রাস্তাটা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পুরো বাঁশখালীতে একই রকমের দুর্ভোগ। বাড়ি থেকে বের হওয়া দায় পড়ে গেছে। অভিভাবকহীন এক জনপদ বাঁশখালী পৌরসভা। কাজ শেষ করার জন্য কয়েকবার জানিয়েছি, আজকেও জানাব, দেখি কী বলে।
এছাড়া আরো বেশ কয়েকটি সড়কে কাজ শুরু করে শেষ না করায় ভোগান্তি পড়েছে পৌরসভার সাধারণ জনগণ।










