একরকম কোয়ালিটি স্পোর্টস ক্লাবের মুখের গ্রাস কেড়ে নিল রাইজিং স্টার ক্লাব জুনিয়র। কারন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের এক রকম শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে প্রায় ৪০ ওভার পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য নিজেদের দখলে রেখেছিল কোয়ালিটি স্পোর্টস ক্লাব। কিন্তু শেষ কয় ওভারের ভেল্কিতে সব শেষ হয়ে গেল। নিশ্চিত জেতা ম্যাচটিতে হেরে প্রিমিয়ার লিগে উঠার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল কোয়ালিটির। দারুণ এক ম্যাচ জিতে শিরোপা জিতে নিয়েছে রাইজিং স্টার জুনিয়র। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত লিগের সুপার ফোর পর্বের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে কোয়ালিটি স্পোর্টস ক্লাবকে ৩৩ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা জিতে নেয় রাইজিং স্টার ক্লাব জুনিয়র। সে সাথে আগামী বছর প্রিমিয়ার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। সুপার ফোর পর্বের নিজেদের প্রথম ম্যাচে শতদল ক্লাবকে পরাজিত করেছিল রাইজিং স্টার ক্লাব জুনিয়র। দ্বিতীয় ম্যাচে গতকাল কোয়ালিটিকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছে। শেষ ম্যাচে শতদল ক্লাব জুনিয়রের কাছে হারলেও শিরোপা নিশ্চিত থাকবে রাইজিং স্টার জুনিয়রের। অবশ্য শেষ ম্যাচে যদি শতদল ক্লাব জয় পায় কোয়ালিটির বিপক্ষে তখন রাইজিং স্টার জুনিয়র এবং শতদলের পয়েন্ট সমান হবে। তখন হেড টু হেডে এগিয়ে থাকায় রাইজিং স্টার জুনিয়রই চ্যাম্পিয়ন হবে। আর যদি শতদল ক্লাব হারে তাহলে আর কোন হিসেব নিকেষের প্রশ্ন আসবেনা।
এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাইজিং স্টার ক্লাব জুনিয়র। প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় রাইজিং জুনিয়র। ২১ রানে দুই উইকেট হারায়। সেখান থেকে ৭৮ রানে যেতে ৪ উইকেট নেই রাইজিং জুনিয়রের। তবে এরপর দরকে টেনে নেন সাজিদ হাসান এবং রহিম আহমেদ। দুজন মিলে ১৩২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে ২১র রানে পৌছে দেন। ১২৫ বলে ৫টি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ৮২ রান করে অপরাজিত থাকেন। অপরদিকে রহিম ৭৮ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। অন্যান্যের মধ্যে সম্রাট ২৪, ফাহিম ১১ এবং সাদ্দাম করেন ১০ রান। কোয়ালিটির পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন ওসমান গনি এবং আমিরুজ্জামান।
২১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৯ রান তুলেছিল বাবু এবং আবদুল আজিজ। ১২ রান করে ফিরেন আবদুল আজিজ। এরপর বাবু এবং রিয়াজুল মিলে যোগ করেন ৫২ রান। ৭২ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৫০ রান করা বাবু ফিরলে ভাঙে এ জুটি। এরপর রিয়াজুল এবং নাহিদ মিলে যোগ করেন ৩৫ রান। ১১ রান করে ফিরেন নাহিদ। দলের ১৬৭ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হিসেবে ২২ রান করা আমিরুজ্জামান ফিরলে শুরু হয় কোয়ালিটির বিপর্যয়। বিশেষ করে সাদ্দামের ঘূর্নির মুখে একের পর এক ব্যাটসম্যান সাজ ঘরে ফিরতে থাকে কোয়ালিটির। ১৬৭ রানে ৪ উইকেট হারানো কোয়ালিটি পরের ৬ উইকেট হারায় মাত্র ১০ রানে। এর মধ্যে সাদ্দামের করা ৪৩ নাম্বার ওভারে ফিরেন কোয়ালিটির তিন ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত ৪৫.২ ওভারে ১৭৭ রান করে অল আউট হয়ে যায় কোয়ালিটি স্পোর্টস ক্লাব। ফলে একরকম নিজেদের মুটোয় থাকা ম্যাচটি হেরে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় কোয়ালিটির। ৯৯ বলে ২টি চারের সাহায্যে ৫৭ রান করেও দলকে জেতাতে পারেননি রিয়াজুল। রাইজিং স্টার জুনিয়রের পক্ষে ৩৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে সবচাইতে বড় ভুমিকা রাখেন সাদ্দাম। ২টি উইকেট নিয়েছেন আলভি।