কে এই সাহিত্য বিশারদ? সাহিত্য বিশারদ একটি উপাধি। পুরো নাম আবদুল করিম। চট্টল ধর্মমন্ডলী তাঁকে ‘সাহিত্যবিশারদ’ খেতাবে ভূষিত করে। পরবর্তীকালে সুধিমহলে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ নামে পরিচিতি লাভ করেন। আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ উপাধি নামের সঙ্গে ব্যবহার করতেন। প্রথম পুঁথি সংগ্রাহক।
আবদুল করিম ১৮৭১ সালের ১১ অক্টোবর সূচক্রদন্ডী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তখন ছিল বৃটিশ সরকারের শাসনকাল।
পুঁথি সাহিত্যের প্রতি আবদুল করিমের গভীর আগ্রহ ছাত্রাবস্থা থেকেই ছিল। তখন তিনি ভাবতেন, শিক্ষকদের প্রশ্ন করতেন, এসব পুঁথি সাহিত্যের রচয়িতা কে? এ ধরনের এক আত্মজিজ্ঞাসা থেকেই আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের পথচলা শুরু। বড্ড বেশি কৌতূহলপ্রবণ মানুষ ছিলেন। এই কৌতূহলপন মন তাঁকে পুঁথিসংগ্রাহক হতে তাড়িত করে। তিনি বলেছেন, ‘ পুরাতন পুঁথি কঙ্কালেরই মত। কিন্তু আমি তাহার ভিতর যুগ যুগান্তের রক্তধমন ও নিঃশ্বাসের প্রবাহধ্বনি শুনিয়াছি।’
আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদের সংগৃহীত প্রথম পুঁথি সাহিত্যের নাম পদ্মাবতী। লেখক আলাওল। আনোয়ারায় এক কৃষকের ঘরে খুঁজে পেয়েছিলেন এটি। সে কী অনাবিল আনন্দ!
প্রথম পাওয়ার আনন্দ বৃদ্ধ বয়সেও ভুলতে পারেননি আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ। তখন তিনি ছাত্র। খুঁজে পাওয়া এ পুঁথিতে কী লেখা আছে তখনও জানতেন না। তবুও তাঁর মনে হলো, এ অমূল্য সম্পদ। তাই চাষি ভাইকে বুঝিয়ে শুনিয়ে তিনি বাড়ি এনে পাঠোদ্ধারের চেষ্টা চালান। সাতদিন পর তিনি বুঝে উঠলেন, এটা আলাওলের পদ্মাবতী। আহারে কী আনন্দ। তাঁর আনন্দে আত্মহারা হওয়ার সেই দৃশ্য দেখেছিলেন আরেক লোক গবেষক ড. এনামুল হক। তিনি বলেছেন, ‘আবদুল করিম যখন বৃদ্ধ বয়সে এ কাহিনী বলতেন, তখন তার দন্তহীন মুখে যে হাসি ফুটে উঠতো, তা দেঁতো হাসিকেও মাত করে দিতে দেখেছি।’ ড. হক আরও বললেন, ‘পদ্মাবতীর প্রাচীন পান্ডুলিপির আবিষ্কার আবদুল করিমের জীবনের প্রথম ও স্মরণীয় ঘটনা। এটি জাতীর পক্ষেও এক মূল্যবান আবিষ্কার। এই আবিষ্কারকে ভিত্তি করে আজ জাতির প্রাচীন সাহিত্য সাধনার সৌধ গড়ে উঠেছে।’ এই মহান সৌধ নির্মাণে আবদুল করিমকে গ্রামের পর গ্রাম হাঁটতে হয়েছে, ঘুরতে হয়েছে অনেক জনপদ। বহুজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। সবার কাছ থেকে সু–মধুর ব্যবহার পাননি। মন্দ কথা শুনেছেন, গালমন্দ করেছে অবুঝেরা। অর্থ–বিত্তের কোনো হাতছানি ছিল না। বরং উপার্জিত সীমিত অর্থ ব্যয় করছেন এ–কাজে। তারপরও আবদুল করিম থেমে যাননি। প্রাচীন সাহিত্য সাধনার অদম্য এক নেশা তাঁকে পথচলতে সাহস জুগিয়েছে। পুঁথি সংগ্রহের জন্য কোনো পদ্ধতিগত জ্ঞান বা প্রশিক্ষণ ছিল না। কোনো পথপ্রর্দশকও ছিলেন না। আবদুল করিম নিজেই নিজের পথ নির্মাণ করেছেন। চলার পথে অনেক পুঁথি সংগ্রাহক, পুঁথিপ্রেমিকের সন্ধান লাভ করেছিলেন। এঁদের সান্নিধ্য তাঁকে পুঁথি সংগ্রহের কাজে সহায়তা করে। আবদুল করিম পুঁথি পাঠের আসরের খবর শুনলেই ওখানে গিয়ে হাজির হতেন। মুগ্ধ হয়ে পুঁথি পাঠ শুনতেন। প্রশ্ন করে করে পৌঁছে যেতেন উৎসমুখে।
চট্টগ্রাম জেলার শিলাইগড়া গ্রামের মহুরি বাড়ির বুধা গাজী ছিলেন আবদুল করিমের খোঁজ পাওয়া তেমনি এক পুঁথিপ্রেমী। প্রতি সন্ধ্যায় বুধা গাজীর বাড়িতে পুঁথি পাঠের আসর বসত। তাঁর সংগ্রহে অনেক প্রাচীন পুঁথিও ছিল। আবদুল করিম একদিন মহুরি বাড়িতে গিয়ে বুধা গাজীর সঙ্গে দেখা করেন। বুধা গাজীর বাড়িতে পুঁথি পাঠের আসরে অংশ নেন। আবদুল কমির এই প্রবীণ পুঁথিপ্রেমীকের সংগ্রহে দেখতে পেলেন অনেক পুঁথি। এতো পুঁথি দেখে সাহিত্য বিশারদ অবাক হলেন। কী করে পুঁথিগুলো নিজের সংগ্রহে আনা যায়, সে বুদ্ধি আঁটতে থাকেন। বুধা গাজী করিমের এমন উৎসাহে খুব খুশি হলেন। তিনি করিমকে তাঁর বাড়িতে কয়েকদিন আতিথ্য গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন। করিম থেকে গেলেন। তারপর তিনি বুধা গাজীর কাছ থেকে সমস্ত পুঁথি নিজের সংগ্রহে নিয়ে আসেন। আবদুল করিম এমন সহায়তা পেয়েছিলেন আনোয়ারা স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা রাজচন্দ্র সেনের কাছ থেকেও। তিনি ছিলেন সারদামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা মুক্তারাম সেনের বংশধর। আবদুল করিম সারদামঙ্গল কাব্যটি তাঁর কাছ থেকেই সংগ্রহ করেন। এই সময় তিনি আনোয়ারার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে বিপুল সংখ্যক পুঁথি সংগ্রহ করেন। এভাবে করিমের প্রাচীন সাহিত্য, পুঁথি সংগ্রহের ভান্ডার দিনে দিনে সমৃদ্ধ হয়। আবদুল করিম তাঁর সংগৃহিত পুঁথি সাহিত্যের মধ্যে সতেরশ পুঁথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরিতে জমা দিয়েছিলেন। অবশিষ্ট পুঁথিগুলো তাঁর মৃত্যুর পর অধ্যাপক আহমদ শরীফ (আহমদ শরীফ আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের ভাতিজা) রাজশাহীর বরেন্দ্র জাদুঘরকে প্রদান করেন। আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ দুই হাজারের অধিক পুঁথি–সাহিত্য সংগ্রহ করেন। সাহিত্যিক অধ্যাপক আহমদ শরীফ লিখেছেন, ‘পুঁথিও সংগ্রহ করেছেন হিন্দু–মুসলিম অভেদে, তার আগে এমন অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে কেউ পুঁথি সংগ্রহ করেননি।’
প্রাচীন পুঁথি–সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদকে ভিন্ন এক জগতে প্রবেশ করিয়ে দেয়। তিনি হয়ে ওঠেন পুঁথি সংগ্রাহক। পদ্মাবতী সংগ্রহ পরবর্তী প্রায় অর্ধশতকের বেশি সময় আবদুল করিম পুঁথি সংগ্রহের ধ্যানে মগ্ন ছিলেন। তিনি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রায় শতাধিক কবি–সাহিত্যিককে খুঁজে বের করেন। পনেরো শতকের শাহ মোহাম্মদ সগীর, ষোলো শতকের দৌলত উজির বাহরাম খান, সৈয়দ সুলতান, শেখ ফয়জুল্লাহ, সতেরো শতকের কাজী দৌলত, মাগন ঠাকুর, আলাওল, আঠারো শতকের আলী রেজা, ষোলো শতকের দ্বিজ শ্রীধর কবিরাজ, কবীন্দ্র পরমেশ্বর, শ্রীকর নন্দী, গোবিন্দ দাস প্রমুখ কবির পুঁথি ও পদের তিনিই ছিলেন প্রথম আবিষ্কর্তা। এঁদের অনেকেই ছিলেন আরাকান রাজসভার কবি। আবদুল করিমের এ প্রয়াসের কারণে বাঙালি ও বাংলা সাহিত্যের ৪০০ বছরের ইতিহাস বদলে যায়। লেখা হয় বাঙালি জাতির সাহিত্য–সংস্কৃতির নতুন আরেক ইতিহাস।
ইতিহাস সৃষ্টির এ সংগ্রামে আবদুল করিম কোনোদিন পাশে পাননি বিত্তশালীদের। এ বেদনার কথা ১৯৪৭ সালে তিনি চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন চট্টল গবেষক আবদুল হক চৌধুরীকে। এ আক্ষেপের কথা অকপটে প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘আমি মোস্লেম রচিত প্রাচীন বঙ্গ সাহিত্য পরিচয় নাম দিয়া প্রাচীন পুঁথির বিবরণ প্রকাশের উদ্দেশ্যে কয়জন ধনীর কাছে সাহায্য ভিক্ষা চাহিয়াছি। কিন্তু ধনীরা যতই ধনবান হউক, সাহিত্যের মর্যাদা বুঝে না। তাই তাদের কাছে কিছু পাইবার আশা করি না। সুতরাং পূর্ব পাকিস্তানের মারফত সাধারণের কাছে ভিক্ষার ঝুলি ধরিয়াছি। সকলে ২/৪ টাকা করিয়া দিলে আমার অভীষ্ট সিদ্ধ হইবে।’ তবে বিদগ্ধ মহলে তাঁর এই অদম্য কর্মের সম্মান ও স্বীকৃতি লাভ করেছিলেন। বাংলা ভাষার প্রথম বিজ্ঞান লেখক আচার্য রামসুন্দর ত্রিবেদীর পত্রে এই সম্মানের প্রকাশ ঘটে। রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী তাঁকে লিখেছেন, ‘আপনার পুরস্কার ভবিষ্যৎ ইতিহাস লেখকের হস্তে। বর্তমান অধম সমাজ আপনার পুরস্কার দিতে পারিবে না।’ শুধু রামেন্দু সুন্দর ত্রিবেদী শুধু নন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গবেষক, সংগ্রাহক ক্ষিতিমোহন সেন শাস্ত্রীও অনুরূপ উচ্ছসিত প্রসংসায় ভাসিয়ে দেন। ক্ষিতিমোহন সেন শাস্ত্রী এবার চট্টগ্রাম সফরে গেলে আদুল করিম সাহিত্য বিশারদের সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছেপোষণ করেন। শাস্ত্রীর আগ্রহে চট্টগ্রামের এক আমলা তাঁর সহকারিকে নির্দেশ দিলেন আদুর করিম সাহিত্য বিশারদকে ডেকে আনতে। এ কথা শুনে ক্ষিতিমোহন সেন শাস্ত্রী খুব রাগ করলেন। তিনি বললেন, ‘ কি বললে, তাকে ডেকে আনাবে! তিনি আমাদের অগ্রণী, আমাদের নমস্য, তাকে ডেকে আনাবে কি, আমরাই তার কাছে যাব। …দূর থেকে (তাকে) দেখে ক্ষিতিমোহন বললেন: উনি ব্যক্তি মাত্র নহেন, উনি একটা প্রতিষ্ঠান।’ তিনি এ কাজের জন্য কবি নবীন চন্দ্র সেনেরও স্নেহধন্য হয়েছিলেন। আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ ছাত্রাবস্থায় অক্ষয় চন্দ্র সরকার সম্পাদিত ‘পূর্ণিমা’ পত্রিকায় ‘অপ্রকাশিত প্রাচীন পদাবলী’ নামে এক দীর্ঘ ধারাবাহিক প্রবন্ধ লিখতে শুরু করেন। তখন কলকাতার আলীপুরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন চট্টগ্রামের ছেলে কবি নবীন চন্দ্র সেন। তিনি চট্টগ্রামের এই তরুণের সাহিত্য চর্চায় মুগ্ধ হয়ে প্রশংসা করেন। নবীন চন্দ্র সেনের মতো একজন নামী কবি ও ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের প্রশংসায় তরুণ আবদুল করিম বেশ উৎসাহ বোধ করলেন। তিনি এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘বাড়ির পুঁথিপত্র হইতে চয়ন করিয়া কতগুলি পদাবলী স্বর্গীয় আচার্য অক্ষয়চন্দ্র সরকারের ‘পূর্ণিমা’ পত্রিকায় প্রকাশার্থে প্রেরণ করিয়া যখন দেখিলাম সেইগুলি প্রকাশিত হইল তখন আমার আনন্দ ধরে না। এই সূত্রে কবি নবীনচন্দ্র সেন মহাশয়ের দৃষ্টিপথে পতিত হইয়া তাঁহার যে উৎসাহবাণী লাভ করি তাহাতে সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ বৃদ্ধির সঙ্গে আমার হৃদয়ে উৎসাহাগ্নি দাউ দাউ করিয়া জ্বলিয়া উঠে।’ তাঁদের এক দুঃখজনক ঘটনা এখানে প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করতে চাই। কবি নবীন চন্দ্র সেন ‘ বিভাগীয় কমিশনারের একান্ত সচিব হিসেবে বদলী হয়ে চট্টগ্রামে আসেন। এসেই তিনি আবদুল করিমের খোঁজ করেন এবং নিজে উদ্যোগী হয়ে তাঁকে অ্যাপ্রেনটিস কেরানি হিসেবে কমিশনারের অফিসে বদলী করে আনেন। এই অফিসে এসে আবদুল করিম কিছু কুচক্রী লোকের ষড়যন্ত্রের শিকার হন। অফিসের একদল কর্মচারি আবদুল করিমের প্রতি কবি নবীন সেনের প্রীতি সুনজরে দেখেনি। বছরখানেক চাকুরি করার পরে এমন একটি ঘটনা ঘটে যাকে বিরোধীপক্ষ কাজে লাগায়। কালীশংকর চক্রবর্তী নামক আবদুল করিমের গ্রামের এক লোক ‘জ্যোতি’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করতেন। ঐ পত্রিকার এক সংখ্যায় কমিশনার অফিসের একটি গোপন সংবাদ প্রকাশিত হয়। ঐ পত্রিকাতেই আবার আবদুল করিম একটি বিজ্ঞাপন দেন– ‘প্রাচীন গীত পুঁথি বারমাস্যা প্রভৃতি যিনি সংগ্রহ করিয়া দিবেন তাঁহাকে আমরা এক বৎসরকাল ‘জ্যোতি’ বিনামূল্যে দান করিব।’ বিজ্ঞাপনটি আবদুল করিমের নামে প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞাপন থেকে ষড়যন্ত্রকারীরা কমিশনার জি. আই. ম্যানেষ্টির কাছে অভিযোগ করে যে আবদুল করিমের দ্বারাই অফিসের গোপন সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। আবদুল করিম নবীন সেনের লোক, তাঁকে নবীন সেন চাকুরি দেন, অতএব ‘জ্যোতি’ পত্রিকার সঙ্গে নবীন সেন এবং আবদুল করিম উভয়ের সংযোগ আছে। সরকারী কর্মচারী হিসাবে নবীন সেন বা আবদুল করিম কারোই সংবাদপত্রের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সম্ভব ছিল না। এটা সরকারী চাকুরি বিধিতে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য ছিল। প্রকৃতপক্ষে তাঁদের কারও যোগাযোগ ছিলও না। নবীন সেন জানতেন না যে আবদুল করিম সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন, আর আবদুল করিম বুঝতে পারেননি যে নিছক সাহিত্য সম্পর্কিত বিজ্ঞাপনে এমন ঘটনা ঘটবে। কমিশনার উভয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেন, ১৮৯৮ সালের আগস্ট মাসে নবীনচন্দ্র সেন ময়মনসিংহে বদলী হন এবং আবদুল করিম চাকুরিচ্যুত হন। আবদুল করিমকে সরকারী চাকুরির জন্য অবাঞ্চিত ব্যক্তি বলেও ঘোষণা করা হয়, পরে অবশ্য এই আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এই ঘটনার কথা কবি নবীনচন্দ্র সেন তাঁর ‘আমার জীবন’ গ্রন্থে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন।’ আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ ১৯৫৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পরলোক গমন করেন।
(তথ্যসূত্র : আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ: জীবন ও কর্ম, বাংলা একাডেমি; আবুল আহসান চৌধুরী (সম্পাদিত): আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ– ঐতিহ্য–অন্বেষার প্রাজ্ঞ পুরুষ; আহমদ শরীফ: আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ; আজহার উদ্দিন খান : দীপ্ত আলোর বন্যা; আলী ইমাম: আলোর পাখি; বাঙালিয়ানা: সাহিত্যবিশারদ আবদুল করিম) ।
লেখক : প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার











