প্রথম প্যাকেজের কাজ শুরু

প্রথম ধাপে আওতায় আসছে নগরীর ২০ লাখ মানুষ দ্বিতীয় প্যাকেজের চুক্তি মে মাসে ।। চট্টগ্রাম ওয়াসার স্যুয়ারেজ প্রকল্প

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৬ মার্চ, ২০২২ at ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে স্যুয়ারেজ ব্যবস্থার আওতায় আসছে চট্টগ্রাম মহানগরী। মহানগরীর পয়ঃবর্জ্য গিয়ে দূষিত হওয়া কর্ণফুলী নদীকে রক্ষা করা এবং নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ উন্নত জীবনযাত্রার বিষয়টি চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী স্যুয়ারেজ প্রকল্প গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম ওয়াসাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ৩ হাজার ৮০৮ কোটি টাকায় নগরীতে স্যুয়ারেজ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। মোট তিনটি প্যাকেজে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনটি প্যাকেজের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে গত জানুয়ারিতে প্রথম প্যাকেজের কাজের জন্য ঠিকাদারের সাথে চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর এখন ঠিকাদার কাজ শুরু করেছেন বলে জানান প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম। দ্বিতীয় প্যাকেজের আওতায় ১১০ কিলোমিটার পয়োপাইপ লাইনের কাজ মে মাসে শুরু হবে। প্রথম ধাপে হালিশহর একটি জোনে চলবে স্যুয়ারেজ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ, যা বাস্তবায়িত হলে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে বর্জ্য শোধন হবে। এর ফলে ভয়াবহ দূষণের কবল থেকে বাঁচবে কর্ণফুলী ও হালদা নদী। পাশাপাশি সুরক্ষিত থাকবে নগরীর জনগণের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
স্যুয়ারেজ প্রকল্পের পরিচালক ও চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, গত ১১ জানুয়ারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। কোরিয়ান ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তায়েং ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড প্রথম প্যাকেজের কাজ শুরু করেছে। ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসে এই প্যাকেজের কাজ শেষ হবে এবং পয়োশোধনাগার চালু হবে। এই প্যাকেজে দুটি শোধনাগার আছে। স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, ৩০০ ঘনমিটার আয়তনের ফিকেল স্ল্যাজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ও ৯০ কিলোমিটার পয়োপাইপ লাইন বসানো হবে। এই প্রকল্পের আওতায় প্যাকেজ-২ ও প্যাকেজ-৩ নামে আরো দুটি অংশ রয়েছে। সেগুলো মূলত ১১০ কিলোমিটার পয়োপাইপ লাইন বসানোর কাজ। তিনি বলেন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্যাকেজের দরপত্র মূল্যায়ন প্রায় শেষের দিকে। আশা করছি, আগামী মে মাসে ঠিকাদারের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর সম্ভব হবে। এরপর দ্বিতীয় প্যাকেজের কাজও শুরু হবে। তিনি জানান, পুরো নগরীকে ছয়টি জোনে ভাগ করে স্যুয়ারেজ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই ছয়টি জোনে ছয়টি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট হবে এবং পুরো নগরীতে দুটি ফিকেল স্ল্যাজ শোধনাগার থাকবে। ছয়টি জোনের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে একটি জোনে বাস্তবায়িত হচ্ছে। কোতোয়ালী, বাটালি হিল, মাঝিরঘাট, মাদারবাড়ী, আগ্রাবাদ, টাইগারপাস, আমবাগান, নয়াবাজার, চৌমুহনী, উত্তর হালিশহর, হালিশহর আনন্দবাজার এলাকার ২০ লাখ মানুষ সবার আগে এই সুবিধা পাবে। এজন্য হালিশহর আনন্দ বাজার এলাকায় সাগর পাড় ঘেঁষে ১৬৫ একর জায়গায় স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টটি গড়ে তোলা হচ্ছে। এরপর বাকি ৫টি জোনে কাজ হবে পরবর্তী প্রকল্প অনুমোদন হলে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধু ইয়াহিয়া খানের সাথে আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেন
পরবর্তী নিবন্ধগ্রেপ্তার শিবিরের ২২ নেতাকর্মী রিমান্ডে