গত অর্থবছরে (২০২০-২০২১) তার পূর্বের অর্থবছরের (২০১৯-২০২০) চেয়ে সরকারের থোক বরাদ্দ সহায়তা কম পেয়েছিল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। এর প্রভাব পড়ে বিভিন্ন উন্নয়ন কমকাণ্ডে। তবে চলতি অর্থবছরের (২০২১-২০২২) প্রথম দুই মাসে পাঁচ কোটি ৪৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকা থোক সহায়তা পেয়েছে চসিক। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন চসিকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। এ ধারা অব্যাহত থাকবে আশাবাদ ব্যক্ত করে তারা বলছেন, সরকারি সহায়তা বাড়লে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে গতি আসবে।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত থোক বরাদ্দ হিসেবে পাওয়া অর্থ থেকে ঠিকাদারের মাধ্যমে ক্ষতি হওয়া সড়ক সংস্কার বা মেরামত করা হয়। অন্যান্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও ব্যয় করা হয় এ অর্থ। বিভিন্ন সময়ে চসিকও মন্ত্রণালয়ের কাছে থোক সহায়তা চেয়ে আবেদন করে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে ৫০ কোটি টাকা থোক সহায়তা চেয়েছিলেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এছাড়া চসিকের চলতি অর্থ বছরের বাজেটে থোক সহায়তা খাতে ৭৩০ কোটি টাকা আয় প্রস্তাব করা হয়।
এ বিষয়ে চসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম মানিক দৈনিক আজাদীকে বলেন, উন্নয়নের জন্য সরকারি সহায়তা আমরা সবসময় পেয়ে থাকি। তবে এ সাহায্য যত বাড়বে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের গতিও তত বাড়বে। এ বার লম্বা সময় ধরে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে শহরের অনেকগুলো সড়ক নষ্ট হয়েছে। ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে আমরা ৪০ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের তালিকা করেছিলাম। সেটা এখন বেড়েছে। কাজেই ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারসহ অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে গতি বৃদ্ধির জন্য বেশি বেশি সরকার সহায়তা প্রয়োজন। আশা করছি চলতি অর্থবছরে বিগত বছরের তুলনায় সরকারি সহায়তা বাড়বে।
এদিকে গত মাসে দুই ধাপে চট্টগ্রামসহ দেশের সিটি কর্পোরেশনগুলোর জন্য ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছাড় করে মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে চসিক পেয়েছে পাঁচ কোটি ৪৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে ‘সাধারণ বরাদ্দ’ উপ-খাতের প্রথম কিস্তি হিসেবে কর্পোরেশনগুলোর জন্য ছাড় করা হয় ৪৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সেখানে চসিক পেয়েছে পাঁচ কোটি ছয় লাখ ২১ হাজার টাকা। এছাড়া কর্পোরেশনগুলোর জন্য ‘আবর্তক অনুদান’ খাতের প্রথম কিস্তি বাবদ তিন কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছাড় করা হয়। এর মধ্যে চসিক পেয়েছে ৪১ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নুমেরী জামান জানান, ছাড়কৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে পিপিআর-২০০৮ অনুসরণসহ যাবতীয় আর্থিক বিধি-বিধান যথাযথভাবে পরিপালন করতে হবে। পরবর্তী কিস্তির অর্থ ছাড়ের পূর্বে ছাড়কৃত অর্থের ব্যয় বিবরণী অবশ্যই মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করতে হবে সিটি কর্পোরেশনকে।
উল্লেখ্য, গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে চসিক ৪৮ কোটি ১৫ লাখ টাকার থোক সহায়তা পেয়েছিল। যা ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ছিল ৫৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। অর্থাৎ আগের অর্থ বছরের চেয়ে গতবার চসিক পাঁচ কোটি ৪৩ লাখ কম সহায়তা পেয়েছিল।