প্রথম দিন ধ্বংস করা হলো ১১ কন্টেনার পণ্য

চট্টগ্রাম কাস্টমস

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৫ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:৩৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে দীর্ঘ সময় পড়ে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ, ব্যবহার অযোগ্য ও পচে যাওয়া ৭৩ কন্টেনারের মধ্যে প্রথম দিনে ১১ কন্টেনার পণ্য ধ্বংস করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে ছিল জুস, মাছ, সুপারি, খেঁজুরসহ আরও পচনশীল বিভিন্ন পণ্য। গতকাল রাতে দৈনিক আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার সৌমেন চাকমা।
নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জারি করা স্থায়ী আদেশ অনুযায়ী গঠিত চট্টগ্রাম বন্দরের মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস কমিটির ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭৩ কন্টেনার নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংসের উদ্যোগ নেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ১৫ লটের এসব কন্টেনারে বন্দরের ভেতরে রেফার্ডসহ ড্রাই কন্টেনার আছে ১৫টি। বিভিন্ন অফডকে ড্রাই পণ্যের কন্টেনার আছে ৬১টি। এসব কন্টেনারে ধ্বংসযোগ্য ও বায়োডিগ্রেডেবল (পচনশীল) আদা, সুপারি, খেজুর, জুস, ক্যারোলা বীজ, মাছের খাদ্য, মাছ ইত্যাদি রয়েছে। বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, নিলাম অযোগ্য পণ্য বন্দরের জন্য একটি বিশাল সমস্যা। অনেক সময় আইনি জটিলতায় নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংস করতে পারে না কাস্টমস। ফলে বন্দর ইয়ার্ডে
এসব কন্টেনারের জন্য জট লেগে যায়। নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংসের জন্য কাস্টমসে স্থায়ীভাবে একটা স্থান নির্ধারণ করা উচিত।
নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, আমদানীকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। অন্যদিকে আমদানিকারক যথাসময়ে পণ্যভর্তি কন্টেনার খালাস না করলে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমের ব্যাঘাত ঘটে। এক্ষেত্রে পচনশীল পণ্যভর্তি কন্টেনার একটি বড় সমস্যা। খালাস না হওয়া এসব কন্টেনার শিপিং কোম্পানির জন্যও বিপদের। কারণ এসব কন্টেনারে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিতে হয়। আমদানিকারক খালাস না নিলেও বৈদ্যুতিক সংযোগ চাইলেও বিচ্ছিন্ন করা যায় না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘চাষ না করলে জমি খাস হয়ে যাবে, এটা গুজব’
পরবর্তী নিবন্ধপ্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে কেন নয় : হাই কোর্ট