নগরীর হালিশহর আনন্দবাজারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ভাগাড়ের পাশে চার কন্টেনারভর্তি ১০৮ টন আদা ও মাল্টা মাটিতে পুঁতে ধ্বংস করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গতকাল ধ্বংস কার্যক্রমের প্রথম দিনে এসব পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। এভাবে পর্যায়ক্রমে ১৭ কন্টেনারে ৩৬৪ টন আদা–রসূন, মাল্টা ও মেন্ডারিন ধ্বংস করা হবে জানিয়েছেন ধ্বংস কার্যক্রমে সহায়তা দেয়া চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান কেএম কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মোরশেদ।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ধ্বংস করা হয়েছে ৫৭ লাখ ৭৩ হাজার ২১৯ টাকা মূল্যের তিন কন্টেনারভর্তি ৮১ টন আদা এবং ৪০ লাখ ৭৬ হাজার ১৫৬ টাকা মূল্যের এক কন্টেনারভর্তি ২৭ টন মাল্টা।
কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, সমপ্রতি নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে তারা বন্দরে পড়ে থাকা বিভিন্ন কন্টেনার খালি করার বিষয়ে গুরুত্ব দেন। সেই অনুযায়ী ৩০ জন কর্মকর্তার একটি দল বিশেষভাবে নিলাম শাখা ও বন্দরে পড়ে থাকা কন্টেনারগুলো মূল্যায়নে কাজ করেন। এরমধ্যে প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের ২১টি কন্টেনার ধ্বংস করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ–কমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, নিলাম ও ধ্বংস কার্যক্রম চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিয়মিত কাজের অংশ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেসব আমদানিকারক পণ্য খালাস নেন না সেগুলো নিলামে তোলা হয়। আবার যেসব পণ্য কন্টেনারে থাকা অবস্থায় মেয়াদোত্তীর্ণ কিংবা নষ্ট হয়ে সেগুলো কাস্টমস ধ্বংস করে।