আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথমদিনে ১৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের ৫০শতাংশ টিকিট অবিক্রিত রয়ে গেছে। চট্টগ্রাম স্টেশন ম্যানেজারের কাছ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছে গতকাল থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত ৭ দিনব্যাপী অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। যাত্রীদের মাঝে গতকাল দেয়া হয়েছে ৩ এপ্রিল ভ্রমণের টিকিট। আগামী ১১ এপ্রিল ঈদের দিন ধরে টিকিট বিক্রির তারিখ নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। যাত্রীদের মাঝে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ভ্রমণের অগ্রিম টিকিট দেয়া হবে।
গতবারের মতো এবারও ঈদযাত্রার শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। অনলাইন মাধ্যমে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে, রেলসেবা অ্যাপসে ও সহজ ডটকমের প্ল্যাটফর্ম থেকেই শতভাগ টিকিট বিক্রি হচ্ছে।
যাত্রীদের মাঝে ট্রেনের ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রির ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, অনলাইনে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা এক সাথে টিকিট কাটতে গেলে সার্ভার স্লো হয়ে যায়। এ ভোগান্তি এড়াতে গতবারের মতো এবারও পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীদের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। পূর্বাঞ্চলে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হয় সকাল ৮টা থেকে। অপরদিকে পশ্চিমাঞ্চলে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হয় দুপুর ২টা থেকে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন ১৪টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। ঈদ উপলক্ষে ১৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট যাত্রীদের মাঝে দেয়া হচ্ছে। এই ১৪টি ট্রেনে ৭ হাজার ৭১৫টি টিকিট রয়েছে। এরমধ্যে ১শতাংশ কোটার টিকিট ছাড়া অবশিষ্ট টিকিট অনলাইনে ছাড়া হয়েছে। রোববার (গতকাল) অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনে প্রায় ৫০ শতাংশ টিকিট রয়ে গেছে। প্রথমদিনের টিকিটের চাহিদা কম ছিল যাত্রীদের কাছে। বিশেষ করে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা এবং ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট বেশি রয়ে গেছে।
আজ যাত্রীদের মাঝে দেয়া হবে ৪ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে ১ জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলবে। ট্রেন দুটি ঈদের আগে ৮ ও ৯ এপ্রিল; ঈদের পরদিন থেকে তিন দিন চলবে বলে জানান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম।