২৬ ফেব্রুয়ারির পর টিকার প্রথম ডোজ প্রয়োগ বন্ধ থাকবে-স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এমন ঘোষণা দিয়েছিল গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। এই ঘোষণার পর চট্টগ্রামের টিকা কেন্দ্রগুলোতে টিকা গ্রহীতাদের চাপ বেড়েছে। বিশেষ করে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণের জন্য কেন্দ্রে ভিড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নারী-পুরুষ।
কেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতদিন এসএমএস পাঠানোদের মধ্যেও একটি অংশ অনুপস্থিত থাকত। টিকা নিতে আসত না। কিন্তু গত কয়েকদিনে এসএমএস না পাওয়ারাও কেন্দ্রে ভিড় করছেন। এতে করে টিকা গ্রহীতাদের চাপ বেড়ে গেছে। অবশ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নতুন করে জানিয়েছে, ২৬ ফেব্রুয়ারির পরও টিকার প্রথম ডোজ প্রয়োগ বন্ধ হচ্ছে না, চলমান থাকবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন এ নির্দেশনা পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী ও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তাঁরা বলেছেন, কয়েকদিন আগে দেওয়া প্রথম ডোজ বন্ধের ঘোষণা সংশোধন করে এখন নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ২৬ ফেব্রুয়ারির পরও টিকার প্রথম ডোজ প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে।
কেন্দ্রে বাড়তি চাপ : প্রথম ডোজ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে-এমন ঘোষণায় চট্টগ্রামের টিকা কেন্দ্রগুলোতে কয়েকদিন ধরে চাপ বেড়ে গেছে।
চসিক জেনারেল হাসপাতালে এতদিন দৈনিক এক হাজার থেকে বারশ মানুষকে টিকা দেওয়া হতো। কিন্তু গত কয়েকদিনে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা বেড়ে দৈনিক দেড় হাজার হয়েছে বলে জানালেন ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। এসএমএস ছাড়াও লোকজন টিকা নিতে ভিড় করছেন বলে জানান তিনি।
একই তথ্য দিয়ে ডা. সেখ ফজলে রাব্বি আজাদীকে বলেন, জেনারেল হাসপাতালে এতদিন তিন হাজার মানুষকে একদিনে টিকা নেওয়ার জন্য আমরা এসএমএস পাঠাতাম। এর মাঝেও ৫০০ থেকে ৭০০ মানুষ টিকা নিতে আসত না। কিন্তু শনিবার তিন হাজারের স্থলে চার হাজার মানুষ টিকা নিতে চলে আসে। গত কয়েকদিন ধরে এভাবেই টিকা গ্রহীতাদের চাপ বেড়ে গেছে। প্রথম ডোজ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে-এমন ঘোষণায় মানুষজন কেন্দ্রে ভিড় করছেন। তবে এখন যেহেতু প্রথম ডোজ অব্যাহত থাকবে বলে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেহেতু এ চাপ আবার কমে আসবে বলে আশা করছি।
এদিকে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি একদিনে সারা দেশে এক কোটি মানুষকে টিকা প্রয়োগের টার্গেট নিয়েছে সরকার। ওই দিনের ক্যাম্পেইনে মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় তিন লাখ মানুষকে টিকা প্রয়োগের টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে বলে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে। নিবন্ধন ছাড়াই ওই দিন টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।