ব্যাটিংয়ে উজ্জ্বল রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান আর বোলিংয়ে দুর্দান্ত ছন্দে ফাজল হক ফারুকি, রাশিদ খান, নাভিন উল হাকরা। সম্মিলিত পারফরম্যান্সে চলতি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উড়ছে আফগানিস্তান। টানা তিন জয়ে সুপার এইটের টিকেট নিশ্চিতের পর তাই উচ্ছ্বাস অধিনায়ক রাশিদের কণ্ঠে। পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে ৭ উইকেটের জয়ে ‘সি‘ গ্রুপে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে আফগানরা। একইসঙ্গে নিউজিল্যান্ডের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে প্রথমবার টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের টিকেট পেয়েছে তারা। ২০১০ থেকে বিশ্বকাপে নিয়মিত খেলছে আফগানরা। গত ছয় আসরের মধ্যে ২০১৬ সালে প্রথম ধাপ পেরিয়ে সুপার টেনে উঠেছিল আফগানিস্তান। সেবার সাত ম্যাচে ৪ জয় এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের সেরা পারফরম্যান্স। ৮ বছর পর এবার প্রথম সুপার এইটে ওঠার পর ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টির কথা বলেন আফগান অধিনায়ক। পরের রাউন্ডে যেতে পারার অনুভূতিটা দারুণ। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবার সুপার এইটে উঠল আফগানিস্তান। কন্ডিশনের সঙ্গে খুব দ্রুত মানিয়ে নিয়ে ছেলেরা দুর্দান্ত খেলেছে। আমার জন্য এটি খুবই তৃপ্তিদায়ক।
টানা তিন জয়ে উড়তে থাকা আফগানিস্তানকে গ্রুপের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা হয়তো দিতে হবে শেষ ম্যাচে। আগামী মঙ্গলবার সেন্ট লুসিয়ায় স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে তারা। ওই ম্যাচের ফলের ওপরই নির্ভর করছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে কারা। ঘরের মাঠ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি সুবিধা পাবে ক্যারিবিয়ানরা। তবে সিপিএল খেলার অভিজ্ঞতা থেকে উইকেট ও কন্ডিশন সম্পর্কে আফগানদেরও ধারণা থাকার কথা বললেন রাশিদ। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার সৌন্দর্য এটাই। উইকেট সম্পর্কে আপনার একটা ধারণা তাকে। নবি, গুরবাজের মতো বেশ কয়েকজন সেন্ট লুসিয়ায় খেলেছে। যারা এখানে খেলেনি তাদের সঙ্গে সেই অভিজ্ঞতাটা ভাগ করে নিতে হবে। এসব কন্ডিশনে নিজের সহজাত ক্রিকেট খেলাটাই মূল।