বরিশালকে হারিয়ে নিজেদের কাজ আগেই সেরে ফেলেছিল সিলেট। অপেক্ষা ছিল রংপুর ও ঢাকা মেট্রো ম্যাচের ফল ঘোষণার। ম্যাচটি অমীমাংসিতভাবে শেষ হতেই নিশ্চিত হয়ে যায় সিলেটের শিরোপা জয়। জাতীয় ক্রিকেট লিগের ২৬তম আসরে এক রাউন্ড বাকি থাকতেই শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে সিলেট। আগের দুই আসরে রানার্স–আপ হওয়া দলটি এবার সব বাধা পার হয়ে পেল সর্বোচ্চ সাফল্য। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে রংপুর ও মেট্রোর লড়াইয়ে চার দিনে খেলা হয়েছে মোটে তিন ইনিংস। মেট্রোর প্রথম ইনিংসে করা ৪৭৫ রানের জবাবে মঙ্গলবার ৩০১ রানে অলআউট হয় রংপুর। ১৭৪ রানের লিড পাওয়া মেট্রো দ্বিতীয়বারে গুটিয়ে যায় ১১৮ রানে। এরপর আর বেশি সময় বাকি না থাকায় ড্র মেনে নেয় দুই দল। ছয় ম্যাচে ২ জয় ও ৩ ড্রয়ে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রংপুর। সমান ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে চারে ঢাকা মেট্রো। আর ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে সিলেট। সিলেটের এবারের সাফল্যে জাতীয় লিগে চ্যাম্পিয়ন দলের সংখ্যা বেড়ে হলো সাতটি। সর্বোচ্চ সাতবার করে শিরোপা জিতেছে ঢাকা ও খুলনা। এছাড়া রাজশাহীর কেবিনেটে আছে ছয়টি ট্রফি। ৯ উইকেটে ২৫৩ রান নিয়ে শেষ দিনের খেলা শুরু করে রংপুর যোগ করে আরও ৪৮ রান। ১০ চারে ২০৮ বলে ৭১ রান করেন তানবীর হায়দার। নজরুল ইসলামের সঙ্গে তার দশম উইকেট জুটিতে আসে ৫০ রান। বিশাল লিড পেয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে মেহেদি হাসানের তোপে পড়ে মেট্রো। মাত্র ৫১ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। নবম উইকেটে ৫২ রানের জুটি গড়েন আরিফ আহমেদ ও আশরাফুল ইসলাম। আরিফ ৩৩ ও আশরাফুল ২৩ রান করেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকে মাত্র ২৫ রানে ৭ উইকেট নেন মেহেদি। তার এক ডেলিভারিতে ভেঙে যায় গাজী তাহজিবুল ইসলামের ব্যাটের নিচের দিকের অংশ। ওই ভাঙা অংশ গিয়ে স্টাম্পে আঘাত করলে হিট উইকেট হন তাহজিবুল। প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা ১৮০ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মেট্রোর মোহাম্মদ নাঈম শেখ।