জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ গতকাল বিকালে লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ঢেঁকিছড়া আমবাগান এলাকার রেংয়েন ম্রো পাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি ও তার সফরসঙ্গীরা ক্ষতিগ্রস্ত পাড়াবাসীর কথা শোনেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন।
ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, প্রত্যেক মানুষ নিরাপদে তাদের বাড়িতে থাকার অধিকার রাখে। ক্ষতিগ্রস্তরা নিজেদের অসহায় মনে করবেন না। সরকার, স্থানীয় প্রশাসন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আপনাদের পাশে আছে। তিনি বলেন, গত বছর ২৬ এপ্রিল যখন ম্রো পাড়ার বাগানে আগুন লাগে, মিডিয়ার মাধ্যমে এই ঘটনা জানতে পেরে আমরা তদন্ত শুরু করি। তারপর গত ১ ও ২ তারিখ রেংয়েন ম্রো পাড়ায় বসতবাড়ি আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সেজন্য আমরা দুঃখিত।
পাড়াবাসীকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ করছি। যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করা হবে ও অন্যায়কারীকে ছাড় দেয়া হবে না। আমরা বিশ্বাস করি, তারা অবশ্যই শাস্তি পাবে। যদি এটা আপনার জায়গা হয়ে থাকে তাহলে আপনারা এই জায়গায় থাকবেন। কেউ তুলে দিতে পারবে না। প্রকৃত জায়গার মালিককে জায়গা পেতে আমরা সহায়তা করব। কিছু ঘটলে আপনারা আমাদেরকে ও প্রশাসনকে জানাবেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আপনাদের পাশে আছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, কমিশনের সম্মানিত সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, কংজরী চৌধুরী, ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র, ড. তানিয়া হক, কাওসার আহমেদ, সচিব (যুগ্ম সচিব) নারায়ন চন্দ্র সরকার, পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আশরাফুল আলম, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক, উপপরিচালক মো. আজহার হোসেন, উপপরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) জামাল উদ্দিন, রাঙামাটি জেলা কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আবু সালেহ, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, লামা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, লামা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, সরই ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিস কোম্পানি, রেংয়েন পাড়া কারবারী রেংয়েন ম্রো ও লাংকুম পাড়া কারবারী লাংকুম ম্রো।