রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেছেন, প্রত্যেকের স্বপ্নের ঘর স্থপতিরাই তৈরি করেন। শহর, নগরের সুন্দর্য উন্নয়নেও স্থপতিরা অবদান রাখছেন। স্থাপত্য শিল্পকে কীভাবে আরো এগিয়ে নেয়া যায় সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। সবুজ পৃথিবী রক্ষায় স্থপতিদের এগিয়ে আসতে হবে।
গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (বাস্থই), চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। নগরীর কাজীর দেউরিস্থ একটি কনভেনশন সেন্টারে নানা আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন হয়। প্রথম পর্বে সকাল ১১টায় স্থপতি রাশেদ হাসান চৌধুরীর সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রথম সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় এবং দুপুর সাড়ে ১২টায় স্থপতি বায়েজিদ মাহবুব খোন্দকারের সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপনের মাধ্যমে ২য় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ২য় পর্বে বিকাল ৩টায় সম্প্রতি শেষ হওয়া চট্টগ্রামের গোলপাহাড় মহাশ্মশান কালী মন্দির উন্মুক্ত স্থাপত্য নকশা প্রতিযোগিতায় ১ম পুরস্কার বিজয়ী স্থপতি মো. ফয়সাল কবিরের প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হয় এবং বিকাল সাড়ে ৩টায় স্থাপত্যে আগা খান পুরস্কার বিজয়ী স্থপতি রিজভী হাসান, সাদ বিন মোস্তফা ও খাজা ফাতমীর প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল সাড়ে ৪টায় বিভিন্ন স্থপতির অংশগ্রহণে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর স্থপতিদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যার অনষ্ঠানে প্রধান অতিথি ফজলে করিম চৌধুরী এমপি আরও বলেন, সবুজ খুব একটা এখন আর দেখা যায় না। সিআরবিকে সুন্দর করতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু গত ৫ বছরেও সেখানে বঙ্গবন্ধুর মুরাল হল না। আশা করছি, আগামী বছর সেটি হয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. এম রমিজউদ্দিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বাস্থই চট্টগ্রাম চ্যাপ্টার কমিটির চেয়ারম্যান স্থপতি আশিক ইমরান ও ডেপুটি চেয়ারম্যান স্থপতি ফারুক আহমেদ ছাড়াও স্থপতি আহমেদ জিন্নুর চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংগঠনের সম্পাদক স্থপতি ফজলে ইমরান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বাস্থই’র ২৪তম নির্বাহী পরিষদ, নবনির্বাচিত ২৫তম নির্বাহী পরিষদ ও বাস্থই, চট্টগ্রাম চ্যাপ্টার কমিটির সদস্যবৃন্দ, অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।