সত্যির মধ্যে শক্তি থাকলেও সত্যি বলার শক্তি সবার থাকে না। সত্যি সবসময় মিথ্যার কাছে হার মানে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে সেটা অল্পকিছু সময়ের জন্য। আমাদের সমাজের, পরিবারের মূল সমস্যা আমরা সবাই সত্য জেনেও মিথ্যার বুলিকে সাবাসি দিয়ে যাই। ঘটনার ফলাফল নিয়ে ব্যস্ত, ঘটনার সূচনা এবং বর্ণনা কেউ জানতে চাই না। সবার দ্বারা সব কিছু হয় না। সবাই অন্যায়ের সাথে আপোষ করে না। আমার এথিক্স বলে – মেনে নেয়া আর মানিয়ে নেওয়ার একটা সীমা থাকে। সেটা অতিক্রম করলে মানুষ মুখ খুলতে বাধ্য হয়। জীবনের যে চরিত্রে থেকে আপনি যত অভিনয় করেন না কেন কোন–একদিন সেটা ভেসে উঠবেই। মনের মধ্যে ভয় শব্দ টাকে ঘেতে নেওয়া উচিত। কেউ একজন তো দেখছে। প্রকৃতির নিয়মে সত্য যেকোনো সময় আপনার দরজায় নক করবে।
সময় কখন কাকে কোথায় নিয়ে যাবে তা কেউ বলতে পারবে না। সেজন্য কাউকে ছোট করে অসম্মান করে কথা বলা মানেই ভবিষ্যতে দ্বিগুণ অসম্মান পাওয়ার জন্য তৈরী থাকা। একটা বয়সের পর আমরা সবাই বুঝতে শিখে যায় যে, জীবনে ভালোবাসা, ভালোলাগার থেকে ও আত্মসম্মানকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত। মনুষ্যত্ববোধ, আত্মসম্মানবোধ সবার থাকে না। এসব মানুষের ব্যক্তিত্বের উপর নির্ভর করে। যার ব্যক্তিত্ব সুন্দর তার মনুষ্যত্ববোধ সুন্দর। সেই মানুষটা সবসময় সবার কাছে আত্মসম্মানবোধ বজায় রাখার চেষ্টা করে।