প্রত্যাহারের দাবিতে ডিআইজি ও পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি

চার উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৩ আগস্ট, ২০২৩ at ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আওতাধীন লোহাগাড়া, পটিয়া, বোয়ালখালী ও চন্দনাইশ থানায় গত ১৬ দিনে বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করে চারটি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলাকে ‘মিথ্যা ও গায়েবি’ দাবি করে তা প্রত্যাহারে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ও পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দিয়েছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি। এতে হয়রানিমূলক মামলায় বিএনপির নিরপরাধ নেতাকর্মীদের হয়রানি বা গ্রেপ্তার না করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অবিলম্বে মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনামের নেতৃত্বে গতকাল বুধবার দুপুরে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন, লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তাফা আমিন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনজুর উদ্দীন চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, প্রত্যেক থানায় রুজু করা মামলায় একই ধারাগুলো ব্যবহার করে শুধুমাত্র স্থান, সময়, বাদী এবং আসামিদের নাম ব্যতীত সম্পূর্ণ মিল রেখে ঘটনা বর্ণনা করেছে। প্রতিটি মামলায় ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক আইনের ধারা উল্লেখ করেছে, যাতে করে মামলা কঠিন হয়। অথচ ঐসময় ঐ এলাকাতে কোনো প্রকার জমায়েত, মিছিল সমাবেশ বা অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা যে শুধুমাত্র বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করার জন্য করেছে তা দিবালোকের মতো পরিষ্কার। ঘটনা বর্ণনায় যা আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট।

স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আছে বিএনপি। বিএনপির উপর মানুষের আস্থা দেখে সরকার দলীয় লোকজন তাদের পুরনো কায়দায় নতুন করে সারাদেশে মিথ্যা এবং গায়েবি মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের আন্দোলন থেকে দূরে সরানোর পায়তারা শুরু করছে। এর ধারাবাহিকতায় বিগত কয়েকদিনে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, পটিয়া, চন্দনাইশ এবং বোয়ালখালী থানার প্রতিটিতে ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে ৪টি মামলা দায়ের করেছে। প্রতিটি মামলায় বাদী হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতারা। গত ১৬ জুলাই পটিয়া থানায়, ২২ জুলাই লোহাগাড়া থানায়, ২৮ জুলাই চন্দনাইশ থানায় এবং ১ আগস্ট বোয়ালখালী থানায় এই মামলাগুলো দায়ের করা হয়।

এতে বলা হয়, সভা সমাবেশ করা মানুষের মৌলিক অধিকার। প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা প্রদান করা পুলিশের দায়িত্ব। পুলিশ জনগণের সেবক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে বেদে পল্লী পরিদর্শনে অতিরিক্ত আইজিপি
পরবর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে জেলে পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ