কর অব্যাহতি কমিয়ে প্রত্যক্ষ কর বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। তিনি বলেছেন, কর আয় ও কর অব্যাহতির পরিমাণ প্রায় সমান, যা বিশ্বের কোনো দেশে নেই। গতকাল রোববার আগারগাঁও এনইসি–২ সম্মেলন কক্ষে এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
‘এলডিসি উত্তরণের প্রেক্ষাপটে এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে অংশীদারত্ব দৃঢ়করণ’ বিষয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)-এর সাপোর্ট টু সাস্টেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রকল্প। অর্থ প্রতিমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে অনুযায়ী ওয়াসিকা বলেন, আমাদের প্রত্যক্ষ করের পরিমাণ বাড়াতে হবে। কর অব্যাহতির হার কমাতে হবে। খবর বিডিনিউজের।
কর আদায়ে ডিজিটালাইজেশনের বিকল্প নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, যারা ডিজিটালাইজেশনে বাধা দিচ্ছে, প্রয়োজনে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হলে শুল্ক আয় কমে আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে কাস্টমস রাজস্ব ও ভ্যাট রাজস্ব প্রায় সমান এবং এরপর থেকে কাস্টমস রাজস্ব কমতে থাকবে।
কর সহায়তা দিয়ে বিশ্ব বাজারে টিকে থাকা যাবে না মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি বহুমুখীকরণের মাধ্যমে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করতে হবে। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ ও কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপান্তরকারী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল এবং এসডিজি অর্জনে সরকার সঠিক পথে রয়েছে। এসডিজি অর্জনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের বড় ভূমিকা রয়েছে।