দিকচিহ্নহীন মন্দিরের দরজায় দাঁড়িয়ে
ফিরে গিয়েছিলাম প্রস্তর যুগে।
এখানে ইতিহাস নেই
মানুষের মুখোশ নেই
স্বর্গ নরকের বিলাপ নেই
ধ্যানমগ্ন ঈশ্বর নেই।
নগ্ন অন্ধকারে গুহার ভেতরে আদি মানবী,
পত্রপুস্পে জড়িয়ে জ্বলছে মনের গহন!
বাঁশফুলের উপর মাখামাখি চাঁদের আলো,
ঝিঁঝি পোকার রাতজাগা সঙ্গীত!
নক্ষত্রের সাথে সঙ্গমে
খসে পড়ে অনাহুত তারা!
হাজার বছর আগে
যে জনপদে আমি হেঁটেছি
বিলীয়মান কালশিলায়
পঠিত হোক সব প্রত্নলিপি!
এই ইট কংক্রিটের দেয়াল ভেঙে,
অনার্য শরীরের নবান্নের ঘ্রাণ মেখে
কাস্তে দিয়ে এসো আজ কবিতা লিখি!
দুধভরা গাভীর চোখে তাকিয়ে
মৃদঙ্গের সুর তুলি!
ব্যর্থ জীবন কে আগুনে পুড়িয়ে
বুক ভরে শ্বাস নেই,
একবার বলি
ভালোবাসি।