চট্টগ্রাম কাস্টমসের গতকাল অনুষ্ঠিত প্রকাশ্য নিলামে ২ কোটি ৮৯ লাখ ২৫ হাজার ৮৯৬ টাকার ১০০ টন গুঁড়ো দুধের সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ৫৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। নগরীর আগ্রাবাদ ছোটপুল এলাকার মেসার্স মাসুম এন্টারপ্রাইজ সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হন। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রতি কেজি গুঁড়ো দুধের মূল্য নির্ধারণ করে ২৮৯ টাকা। তবে কেজি হিসেবে দর উঠেছে প্রায় ৫৯ টাকা। অপরদিকে ২৩ লাখ ২৪ হাজার ১৮৯ টাকার সাড়ে ২৩ টন (২৩ হাজার ৫৮০ কেজি) আদার দর উঠেছে ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কেজি হিসেবে দর উঠেছে ৫৩ টাকা। নগরীর পাথরঘাট আশরাফ আলী রোডের মেসার্স মাইনুদ্দিন জাবেদ ট্রেডার্স সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হন। তবে নিলামের তালিকায় আরো ১১০ টন গুঁড়ো দুধ থাকলেও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বিনা নোটিশে সেটি প্রত্যাহার করে নেয়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, পচনশীল পণ্যের দ্রুত নিলাম আয়োজনের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) স্থায়ী আদেশ জারি করে। কিন্তু চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তাদের অনীহার কারণে সেই আদেশ বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে বিগত সময়ে অনেক খাদ্যপণ্য পঁচে যাওয়ায় তা মাটি খুঁড়ে পুঁতে ফেলতে হয়েছে। এতে সরকার রাজস্ব পাওয়া দূরে থাক, উল্টো পণ্য ধ্বংসের অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। সর্বশেষ গত ১৯ অক্টোবর সাড়ে ২৫ টন আপেল প্রকাশ্য নিলামে তুলে কাস্টমস। প্রতি কেজি আপেলের দাম ১৬৬ ধরা হলেও সর্বোচ্চ দাম উঠেছে মাত্র ২০ টাকা। এছাড়া ১২ টন প্রিমিয়াম এনজাইম সলিউশন নামের টেঙটাইল রাসায়নিক পদার্থের প্রতি কেজি দাম ধরা হয় ১২২ টাকা, কিন্তু সর্বোচ্চ দর উঠে ২৭ টাকা। আপেলের সর্বোচ্চ দরদাতা হয় মাসুম এন্টারপ্রাইজ এবং রাসায়নিক পদার্থের সর্বোচ্চ দরদাতা হন হাজী ফেরদৌস আলম নামের এক ব্যক্তি। তার আগে ৯ অক্টোবর আড়াই কোটি টাকার প্রায় ২৮ টন হিমায়িত মহিষের মাংস প্রকাশ্য নিলামে তোলা হয়। রাজশাহীর শাহ মখদুম এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান মাত্র ৪ লাখ টাকা বিড করে সর্বোচ্চ দরদাতা হয়।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের পচনশীল পণ্যের নিলামের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ–কমিশনার মো. আবদুল হান্নান বলেন, বন্দর ইয়ার্ড খালি করার জন্য আমরা এখন থেকে পচনশীল পণ্য দ্রুত নিলামের উদ্যোগ নিয়েছি। এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।