প্রতি ঈদে তার আয় ১০-১২ লাখ টাকা!

ই-টিকেট কালোবাজারি

| শুক্রবার , ২৯ এপ্রিল, ২০২২ at ৮:১০ পূর্বাহ্ণ

অনলাইনে রেলের টিকেট বিক্রির দায়িত্বে থাকার সুবাদে সার্ভার থেকে আগেই টিকেট সরিয়ে কালোবাজারে বিক্রি করে দিতেন রেজাউল করিম। প্রতি ঈদে এভাবে টিকেট সরিয়ে আয় করতেন ১০১২ লাখ টাকা। ঈদের আগে অনলাইনে টিকেট ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই শেষ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পেয়ে ‘সহজ ডটকম’ এর এই কর্মীকে গ্রেপ্তারের পর এমন কৌশলের কথা জানিয়েছে র‌্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে টিকেট বিক্রির সঙ্গে জড়িত ওই কর্মীসহ তার এক সহকারীকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়। গ্রেপ্তাররা হলেনসহজ ডটকম এর কর্মী মো. রেজাউল করিম (৩৮) এবং তার সহযোগী এমরানুল আলম সম্রাট (২৮)। তাদের স্মার্টফোন থেকে ‘বিপুল পরিমাণ’ ট্রেনের ইটিকিট জব্দ করা হয়।

র‌্যাব জানায়, মঙ্গলবার কমলাপুর স্টেশন থেকে রেজাউল করিমকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তার সহকারী এমরানুলকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, এ সময় রেজাউল টিকেট কালোবাজারির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাতে বিমানবন্দর স্টেশন থেকে এমরানুলকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।

রেজাউলের টিকেট কালোবাজারির কৌশল ব্যাখ্যা করে র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুবাদে সার্ভার থেকে টিকেট বুক করে কিনে নিতেন। পরে তা কালোবাজারে বিক্রি করতেন। রেজাউল পরিচিতজনদের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে টিকিট প্রত্যাশীদের একটি বড় শ্রেণি গড়ে তোলেন। এর বাইরেও কালোবাজারিতে তার টিকিট বিক্রেতা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভিআইপিদের টিকেটের ব্যবস্থা করে দেওয়ার সুযোগ নিয়ে তিনি এ কাজ করে আসছিলেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন রেজাউল। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রতি ঈদে ২৩ হাজার ট্রেনের টিকিট সরিয়ে নিতেন রেজাউল। পরে কালোবাজারিতে বিক্রির মাধ্যমে প্রতি মৌসুমে আয় করতেন ১০১২ লাখ টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম ডিপ্লোম্যাট অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড পেলেন
পরবর্তী নিবন্ধছায়েরা খাতুনের বিভীষিকাময় এক রাত