মানুষ হিসেবে আমাদের মাঝে ঈর্ষা, প্রতিহিংসা এগুলো কেন জানি নিজের অজান্তেই লেগে থাকে ছায়ার মত। কিন্তু প্রতিহিংসাপরায়ণতা আমাদের জীবনে কখনো মঙ্গল বয়ে আনে না। প্রতিহিংসা আমাদেরকে রন্ধ্রে রন্ধ্রে ধ্বংস বা ক্ষতির সম্মুখীন করে তোলে। মূলত প্রতিহিংসাপরায়ণতা আমাদের মন ও মানসিকতা বেপরোয়া ও আত্নঘাতী করে তুলতে চুড়ান্ত সহায়তা করে। এই প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে আমরা নানানা অসম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে মানুষের ক্ষতিসাধনসহ নানারকম খারাপ কাজে নিজেদেরকে জড়ায়। মানুষ নুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য এ চিরন্তণ বাণীটা আজ নীরবে অনেকটা অসহায়। কারণ আমরা এখন অনেকটা আত্নকেন্দ্রীক চিন্তা চেতনায় ব্যস্ত। নিজ স্বার্থে আমরা অনেক বেশি ব্যস্ত। মানবিক মানুষ হয়ে উঠা এখন দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমরা নিজেকে বেশি ব্যস্ত অন্যের সমালোচনা, দোষত্রুটি খুঁজতে খুঁজতে। অন্যের সাফল্যে আমরা অযথায় প্রতিহিংসা করি বেশি। মানুষের ভালো বা সফলতা কেন জানি আমরা সহজে উপভোগ বা মানতে পারি না। যার সবকিছুতেই প্রতিহিংসা একটা বড় ক্ষতিকারক জিনিস। প্রতিহিংসা থেকে যদি আমরা বের হয়ে আসতে না পারি তবে আমরা কখনো মানবিক তথা সত্যিকার মনুষ্যত্ব সম্পন্ন মানুষ হতে পারব না। এই প্রতিহিংসা আমাদের যেমন ব্যক্তিগত অনেক আক্রোশ ও ক্রোধের জন্ম দিয়ে নিজের যেমন ক্ষতি করে অনুরূপ অন্যজন এমনকি দেশেরও ক্ষতি করতে থাকে। তাই আমাদেরকে প্রতিহিংসা পরায়ণ মন নিয়ে নিজেদেরকে গড়ে তোলায় অভ্যস্ত হতে হবে। আমাদেরকে শিক্ষা–দীক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রযুক্তিতে যেমন পারদর্শী হতে হবে কিন্তু প্রত্যেককিছুর আগে আমাদের সততা, দেশপ্রেম, দায়িত্ববোধ, নিষ্ঠা ও আন্তরিক হতে হবে। আর সব কিছুর জন্য বেশি প্রয়োজন প্রতিহিংসামুক্ত মন মাসসিকতা। কেননা প্রতিহিংসা ব্যক্তি জীবনে, রাজনৈতিক বা সামাজিক কিংবা জাতিগত জীবনে কখনো সাফল্য আনতে পারে না। সামগ্রিকভাবে প্রতিহিংসা সবসময় সবকালের মানুষ ও দেশের জন্য একটি ক্ষতিকারক যুদ্ধই বলা চলে। আসুন আমরা নিজে প্রতিহিংসামুক্ত মন তৈরি করতে চেষ্টা করি। অনুরূপ সকল রকম প্রতিহিংসামূলক কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখি এবং অন্যকে বিরত রাখতে উৎসাহিত করি। আসুন আমরা সুন্দর, সৎ, মানবতাও ভালোবাসা দিয়ে সমগ্র প্রতিহিংসাকে পরাস্ত করি একটি সুন্দর শান্তিময় বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করি।