প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপির পাঁচ দিনের কর্মসূচি

| বৃহস্পতিবার , ২২ আগস্ট, ২০২৪ at ১২:১৬ অপরাহ্ণ

দলের প্রতিষ্ঠার ৪৬ বছর উদযাপনে পাঁচ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার বিকেলে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে৩১ আগস্ট মহানগরজেলায় আলোচনা সভা।

১ সেপ্টেম্বর সকালে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১১টায় শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফাতেহা পাঠ ও শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিএনপির উদ্যোগে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থাজাসাসের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

২ সেপ্টেম্বর মহানগরজেলাউপজেলায় শোভাযাত্রা, ৩ সেপ্টেম্বর মহানগরজেলাউপজেলাইউনিয়নে মৎস্য অবমুক্তকরণ এবং ৪ সেপ্টেম্বর সারাদেশে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি। এছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দিবস উপলক্ষে দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন আলোচনা সভা করবে। এগুলোর সূচি ও স্থান পরে জানানো হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির বাইরে সব জেলা ইউনিট ও অঙ্গসংগঠন কর্মসূচি পালন করবে নিজেদের মতো করে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দল ও অঙ্গসংগঠনগুলো পোস্টার ও বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। খবর বিডিনিউজের।

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদীদের ‘যূথবদ্ধ শক্তিমঞ্চ’ হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলবিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি ঠিক করতে গতকাল বুধবার বিকাল ৪টায় নয়া পল্টনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ সভা হয়।

যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছে। আজকে ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এজন্য আমি ছাত্রজনতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এখন আমাদের সামনে কিন্তু বড় সংগ্রাম বড় লড়াই। সেই লড়াইটা এই বিপ্লবের বিজয়কে সুসংহত করা। এই বিজয়কে যদি আমরা সুসংহত করতে না পারি আবার কিন্তু নব্য ফ্যাসিবাদ এসে হাজির হবে, এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে কেউ যদি সন্ত্রাস করতে চায়, কেউ যদি চাঁদাবাজি বা অন্য কিছু করে, ক্ষতি করতে চায়, সেটা আমাদেরকে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে রুখে দিতে হবে, প্রতিরোধ করতে হবে। আমাদের সুস্পষ্টভাবে বলা আছে যে, সর্বক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা যারা ভণ্ডুল করবে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে এবং ভণ্ডুলকারীদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে থাইল্যান্ড যাবেন ড. ইউনূস
পরবর্তী নিবন্ধচীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব গভীর হবে, আশা ফখরুলের