সিরিয়ার বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী একত্রিত হয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে। নতুন সিরিয়ান প্রশাসনের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আল–শারা (জোলানি) এবং অন্তত ছয়টি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতাদের মধ্যে একটি বৈঠকে সকল গোষ্ঠীর বিলুপ্তি এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে তাদের একিভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, মার্কিন সমর্থিত কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) এই চুক্তির অংশ নয়।
প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল–বাশির গত সপ্তাহে বলেছিলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে পুনর্গঠন করা হবে, যেখানে সাবেক বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং বাশার আল–আসাদের সেনা থেকে পালিয়ে আসা কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। খবর বাংলানিউজের। আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পর বিদ্রোহী যোদ্ধারা রাজধানী দামেস্কে প্রবেশের পর বিভিন্ন অঞ্চলের নিজেদের বলে দাবি করতে শুরু ছিল। যার কারণে আসাদ সরকারের পতনের পর এটি সম্ভবত সিরিয়ায় ঘটে যাওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে আল–শারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেশের, কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হাতে থাকা অস্ত্রসহ, সব অস্ত্র রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে আসবে। তিনি পশ্চিমা কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করেছেন হায়াত তাহরির আল–শাম (এইচটিএস) কোনো ধর্মীয় সংখ্যালঘুকে দমন করবে না এবং পূর্ববর্তী সরকারের সমর্থকের বিরুদ্ধে প্রতিশোধও নেবে না।
নিজ পরিবারের কয়েক দশকের শাসনের অবসান ঘটিয়ে সিরিয়া থেকে আল–আসাদ পালিয়ে গেলে গত ৮ ডিসেম্বর দামেস্ক নিয়ন্ত্রণ নেন আল–শারা। বর্তমানে তার অধীনে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যার মেয়াদ তিন মাসের মত হতে পারে।
এদিকে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সফরের একদিন পর সিরিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কাতার। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মজিদ আল–আনসারি বলেছেন, কাতারের অবস্থান স্পষ্ট, নিষেধাজ্ঞাগুলো দ্রুত তুলে নেওয়া প্রয়োজন।