প্রতিবেশী দেশ বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করলে তার প্রতিদান দিব : আজহারী

পেকুয়ায় মাহফিলে মানুষের ঢল

পেকুয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৬:২২ পূর্বাহ্ণ

প্রতিবেশী দেশ বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করলে আমরা তার প্রতিদান দিব, যদি কর্তৃত্ববাদের ভূমিকা রাখে তাহলে আমরা এমন প্রতিবেশী চাইনা। ইসলাম আমাদের ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়। কক্সবাজারের পেকুয়ায় গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশের আলোচিত ও জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজ মাহফিলে প্রধান বক্তার আলোচনায় এ কথা বলেন। তিনি প্রতিবেশী দেশকে বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের আহবান জানান। কক্সবাজারের পেকুয়ায় মরহুম মাওলানা শহিদুল্লাহ স্মৃতি সংসদ ও পেকুয়া সমাজ উন্নয়ন পরিষদের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত তাফসির মাহফিলে বহু মানুষের জমায়েত ঘটে। বিশাল তাফসির মাহফিলের কর্মসূচি সকাল ৯ টা থেকে আরম্ভ হওয়ার কথা থাকলেও আগের দিন রাত থেকে ধর্মপ্রাণ মানুষ মাহফিলে উপস্থিত হয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কন্টেন্ট ক্রিয়েটারগণ দুই দিন আগে থেকে মাহফিলে এসে খুটিনাটি প্রচার করতে থাকে। সকাল ৯টায় আরম্ভ হওয়া তাফসির মাহফিলের সভাপত্বিত করেন মাওলানা এ এইচ এম বদিউল আলম। উদ্বোধনী বয়ান করেন জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা শায়েখ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন। এরপর ধারাবাহিক আলোচনা করেন, মুফতি কাজি ইব্রাহিম, মাওলানা জসিমউদদীন রহমানী, আবদুল্লাহ হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। এসময় প্রায় ৬ লক্ষ মুসল্লিদের নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করেন, জুমার খুতবা পড়ান মাওলানা সালাহউদ্দিন মাক্কী, জুমার নামাজের ইমামতি করেন, আবদুল্লাহ হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

জুমার পর দ্বিতীয় অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী, ধারাবাহিক আলোচনা করেন, মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, সাদেকুর রহমান আজহারি, আবদুল্লাহ আল আমিন। বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, এরপর জনতার উদ্দেশ্যে ভার্চুয়ালি ভিডিও কলে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রাজনীতিক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। রাত ৯ টা ২০ মিনিটে মঞ্চে উঠেন প্রধান মুফাসিসর আল্লামা মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি মঞ্চে আসার আগেই মাহফিলের চারপাশ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। মাহফিলে পেকুয়া থানা পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ।

বিগত আওয়ামীলীগ সরকার মিজানুর রহমান আজহারীকে মাহফিল করতে না দেয়া ও দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। জুলাই আগষ্টের গণঅভ্যুত্থানের পর এই প্রথম ঢাকার বাইরে মাহফিল হওয়ায় দূর দূরান্ত থেকে পেকুয়ার ওয়াজ মাহফিলে লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মানুষের জমায়েত দেখা গেছে।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, পেকুয়ায় বাংলাদেশের আলোচিত ও জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলে আগত মুসল্লীদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পেকুয়া থানা পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে, অনেক লোক জমায়েত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল বিধায় তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। মাহফিল ঘিরে বা এই সুযোগে কোন দুষ্কৃতকারী অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সে বিষয়টি বিবেচনা রেখে পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবর্ণাঢ্য আয়োজনে জাসাসের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন
পরবর্তী নিবন্ধ‘বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ অপকর্ম করলে ছাড় নয়’