প্রতিদিন সাশ্রয় হবে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ

রাত ৮টার পর দোকান বন্ধ

আজাদী ডেস্ক | মঙ্গলবার , ২১ জুন, ২০২২ at ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে রাত ৮টার পর থেকে দোকানপাট বন্ধের নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে গতকাল সোমবার থেকে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব বলে ধারণা করছেন জ্বালানি খাতের সাথে সংশ্লিষ্টরা।

কী পরিমাণ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে : বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে প্রতিদিন অন্তত দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব। পাশাপাশি ওই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যে পরিমাণ জ্বালানি প্রয়োজন হতো, সেই জ্বালানির খরচও সাশ্রয় হবে বলে মন্তব্য করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ারসেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন। তিনি বলেন, আমাদের পর্যবেক্ষণে আমরা দেখেছি, সন্ধ্যা ৬টার পর বিদ্যুতের চাহিদা তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট বেড়ে যায়। বিদ্যুতের চাহিদার এই পরিবর্তন মূলত হয় সন্ধ্যার পর বাতি জ্বালানোর কারণে। খবর বিবিসি বাংলার।

তিনি বলেন, সন্ধ্যার পর বিদ্যুতের এই বাড়তি চাহিদা যে শুধু দোকানপাট চালু থাকার জন্য তৈরি হয় তা নয়। মানুষের ঘরবাড়ির বাতিও একটি কারণ। তবে আমাদের হিসেবে দোকানপাট বন্ধ থাকলে প্রায় অতিরিক্ত চাহিদার ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।

মোহাম্মদ হোসাইনের মতে, এর ফলে প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব। সন্ধ্যার পর বিদ্যুতের অতিরিক্ত চাহিদা সামাল দিতে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হয় তার উৎপাদন খরচও অনেক বেশি। আর এই বাড়তি চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের যোগান দিতে আমাদের তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালাতে হয়, যার ফলে বিদ্যুতের দামও অনেক গুণ বেড়ে যায়।

তিনি জানান, গ্যাস ব্যবহার করে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ পড়ে তিন থেকে চার টাকা, যেখানে ডিজেলচালিত বিদ্যুতের দাম পড়ে প্রতি ইউনিট ত্রিশ টাকারও বেশি। আবার ফার্নেস অয়েলচালিত বিদ্যুতের দাম পড়ে পনের থেকে বিশ টাকা। সন্ধ্যার পর থেকে দোকানপাট বন্ধ থাকলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই অতিরিক্ত খরচও সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএবার চশমা হিল এলাকায় ধস, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধরাত ৮টার পরও কোথাও খোলা কোথাও বন্ধ