প্রতিদিন একসঙ্গে দুই হাজার মানুষের ইফতার

প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের জিইসি ক্যাম্পাস

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৮ মার্চ, ২০২৩ at ৬:০১ পূর্বাহ্ণ

প্রতিবারের ন্যায় এবারও মাসজুড়ে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের ইফতার আয়োজন চলছে। নগরীর জিইসি মোড়ে অবস্থিত প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিদিন সমবেত হচ্ছে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। এদের মধ্যে যেমন রয়েছে খেটে খাওয়া মানুষ তেমনি রয়েছে ধনী মানুষও। এই আয়োজনে থাকে না কোনো ধনীগরীবের বৈষম্য।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় জিইসি ক্যাম্পাসের মসজিদ সংলগ্ন মাঠজুড়ে সারি সারি লাইনে বসে আছেন রোজাদার মানুষ। মসজিদের হুজুর তাঁর বয়ান দিচ্ছেন। রোজাদাররা বলছেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের ইফতার মানে ভিন্ন কিছু, ভিন্ন আমেজ। তাই প্রতিবার এই আয়োজনে মিলিত হন তাঁরা। এদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা মহিউদ্দিন চৌধুরীর সান্নিধ্য পেয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি না থাকলেও রোজাদাররা তাঁকে ভুলেন নি। বরং তাঁর নামে করা ফাউন্ডেশনের ইফতার আয়োজনের প্রতি মানুষের আগ্রহ দিনদিন বেড়েই চলেছে।

রিকসা চালক নাজিম উদ্দিন বলেন, সবগুলো রোজা রাখি। একটাও বাদ দিই না। মঝে মধ্যে মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের ইফতারে হাজির হই। আমার মতো আরো অনেকে উপস্থিত থাকেন। এ বিষয়ে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন আজাদীকে বলেন, আগের মতো প্রচুর মানুষের সাড়া পাচ্ছি। এখন প্রতিদিন দুই হাজার মানুষ আমাদের আয়োজনে হাজির থাকছেন। ১৫ রোজা থেকে তা অনেক বেড়ে যাবে। আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ হাজির হবে আমাদের আশা। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে উল্লেখ করে সালেহীন বলেন, আমাদের আয়োজনে ধনীগরীব বলতে কিছুই নেই। গরীব লোক যেমন হাজির থাকেন, ধনী লোকও হাজির থাকেন। আমরা সবার জন্য ইফতারের আয়োজন করি। তিনি বলেন, আমাদের আয়োজনে নির্দিষ্ট কিছু দিনে অনেককে দাওয়াত দিয়ে থাকি। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরাও থাকেন। ভাইয়া (শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল) চট্টগ্রাম আসলে তিনিও থাকবেন। মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনসূত্র জানায়, ইফতারে প্রতিদিন ছোলা, বুট, মুড়ি, পেয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, জিলাপি, চিড়া থাকে। মাঝেমধ্যে সেমাই, বিরিয়ানি, গরুমুরগির তেহারি এবং ফিরনিও থাকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচুরিতে দুজন, ক্রেতা তিনজন
পরবর্তী নিবন্ধচার কারণে বোয়ালখালীতে লেবু উৎপাদন কম