প্রতারকের ফাঁদে ধ্বংসের পথে মানুষের জীবন

জোনাকী দত্ত | মঙ্গলবার , ২৫ জুলাই, ২০২৩ at ৮:০৪ পূর্বাহ্ণ

অন্যকে ঠকানো, ধোঁকা দেওয়া, এবং বিশ্বাস ভঙ্গ করার নামই প্রতারণা। একটি পোকা যেমন ধীরে ধীরে সমস্ত ফসল নষ্ট করে দেয় ঠিক তেমনি একজন প্রতারক মিষ্টি ভাষায় মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে তার জীবন ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। মানুষ তার সারা জীবনের কষ্টার্জিত সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একটি স্থায়ী বাসস্থানের স্বপ্ন দেখে। শহরের বুকে এক টুকরো জমি বা ফ্ল্যাট কিনে তার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ছুটে যায় সেসব মানুষের কাছে যারা ফ্ল্যাট বা জমি কেনা বেচা করে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফ্ল্যাট বা জমি কেনার সময় প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধু বেশে শয়তান প্রতারক চক্র মানুষের স্বপ্ন পূরণের পথে কাঁটা ছড়িয়ে ছিনিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। এরা সমাজ, সংসার তথা মানবতার শত্রু। জমির অংশ বা ফ্ল্যাট বিক্রির নাম করে এরা সুকৌশলে মানুষকে কথার জালে ফেলে তার মন জয় করে। এরপর সুঁই হয়ে মানুষের মনের মধ্যে ঢুকে বেদনাদায়ক ফাল হয়ে বেরিয়ে যায়। এরা মানুষের বিশ্বাস নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। জমির অংশ বা ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রি দিয়ে একটা মোটা অংকের টাকা নেওয়ার পর বিক্রেতা এমন ভান করে যেন ক্রেতা তার থেকে দূরে থাকে। তখন তাকে জায়গার সমস্ত কাগজ পত্র বুঝিয়ে দিতেও নারাজ থাকে, অবহেলা করে। বেশি কিছু জানতে চাইলে তাকে সন্ত্রাসী দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টাও করে। সে তখন ফ্ল্যাট বা জমি কেনার আগে যে মিষ্টি ব্যবহার করে থাকে তা ধীরে ধীরে লুপ্ত হয়ে যায়। তখন তার শয়তানের রূপ বেরিয়ে আসে। ক্রেতা তখন তার সঞ্চিত অর্থ হারিয়ে ফ্ল্যাট বা জমি বুঝেও পায় না, হতাশায় ভোগে, বছরের পর বছর অপেক্ষায় থেকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। তাই এসব প্রতারকদের উৎখাত করতে হলে প্রশাসন ও জনসাধারণকে সচেতন হতে হবে। এদের সম্পর্কে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে এবং আইনি ভাবে সব কাগজপত্র দেখে তবেই ফ্ল্যাট বা জমি কেনা উচিত। সর্বোপরি সকলের আন্তরিক সহযোগিতা থাকলে এসব প্রতারকদের প্রতারণা বন্ধ করা সম্ভব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশ্রাবণের স্পন্দন
পরবর্তী নিবন্ধবাবা প্রতিটি সন্তানের জন্যই বটবৃক্ষের ছায়া