প্রচারণা শেষ হচ্ছে আজ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৫ জানুয়ারি, ২০২১ at ৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ২১ দিনের উৎসবমুখর প্রচার-প্রচারণা আজ শেষ হচ্ছে। আজ সোমবার মধ্যরাতে মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদের সব ধরনের প্রচারণা বন্ধ হয়ে যাবে। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার ৩২ ঘণ্টা আগে থেকে কোনও প্রচার চালানো যাবে না। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শুরু হয় গত ৮ জানুয়ারি থেকে। আগামী ২৭ জানুয়ারি বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। এদিকে গতকালও প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরী এবং বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেনসহ ৭ মেয়র প্রার্থী এবং ২২৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী শেষ মুহূর্তে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। আজ শেষ দিনে জমজমাট প্রচারণা চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থীসহ অন্য মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
গতানুগতিক প্রচার-প্রচারণার বাইরে এবার প্রত্যেক প্রার্থীর প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রা। ডিজিটাল প্রচারণায় পেয়েছে শৈল্পিক রূপ। ডিজিটাল প্রচারণার মাধ্যমে সশরীরে না গেলেও প্রার্থীরা ঠিকই পৌঁছে যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। শুধু মিছিল-স্লোগানে থেমে থাকেননি প্রার্থী এবং কর্মী-সমর্থকরা। মেয়র থেকে শুরু করে প্রতিটি কাউন্সিলর প্রার্থী ভোটারদের মন জয়ে শৈল্পিক প্রচারণা চালান। জনপ্রিয় শিল্পীদের কণ্ঠে ছিল মন মাতানো গান। কোন প্রার্থী কোন মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আর তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পৌঁছে গেছে ভোটারদের কাছে।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান আজাদীকে বলেন, সোমবার মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী এলাকায় সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ হয়ে যাবে। নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মাঠে নামছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে তাদেরকে সকল ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিধি অনুযায়ী, কোনও নির্বাচনী এলাকার ভোটগ্রহণ শুরুর পূর্ববর্তী ৩২ ঘণ্টা, ভোটগ্রহণের দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা এবং ভোটের দিন রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কোনও ব্যক্তি কোনও জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান এবং কোনও মিছিল বা শোভাযাত্রা করতে বা তাতে অংশ নিতে পারবেন না।
প্রস্তুত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা : চসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ৭৩৫টি কেন্দ্রে এবং ৪ হাজার ৮৮৬টি বুথে। এর মধ্যে অস্থায়ী ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ২টি, অস্থায়ী বুথের সংখ্যা ৭৬৪টি। ভোটগ্রহণের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭৩৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৪ হাজার ৮৮৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং ৯ হাজার ৭৭২ জন পোলিং কর্মকর্তা। নির্বাচন কমিশন (ইসি) আজ সোমবার সবগুলো ভোট কেন্দ্রে অনুশীলন বা মক ভোটের আয়োজন করেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত : চসিক নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে থাকবেন ২৫ প্লাটুন (৭৫০ জন) বিজিবি, ৪৯২ জন র‌্যাব, ৪ হাজার ৩০৮ জন পুলিশ এবং ৮ হাজার ৮২০ জন আনসার সদস্য। আজ সোমবার থেকে ভোটের আগে-পরে চার দিন দায়িত্ব পালন করবেন তারা। পাশাপাশি মাঠে থাকছে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স। এবারের নির্বাচনে সব বাহিনী মিলে মোট ১৪ হাজার ৩৭০ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। মোবাইল টিম থাকবে ৪১০টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে ১৪০টি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন ৭৬ জন। প্রতি ওয়ার্ডে ১ জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া বিজিবির প্রতি প্লাটুনে ১ জন করে এবং র‌্যাবের সাথে ৩ জন দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচনে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি দায়িত্ব পালন করবে। সাধারণ ভোট কেন্দ্রে ১৬ জন করে এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসার, বিজিবি ও র‌্যাব। ইভিএমের কারিগরি সহায়তায় প্রতি ভোট কেন্দ্রে সশস্ত্র বাহিনীর দুজন করে সদস্য নিয়োগ থাকবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএবার মিশন হোয়াইট ওয়াশ
পরবর্তী নিবন্ধকাশিমপুর কারাগারের জেল সুপার রত্মা ও জেলার নূর মোহাম্মদ প্রত্যাহার