প্রচণ্ড ঠান্ডার সঙ্গে বাতাস, কখনও আবার বৃষ্টি, এমন প্রতিকূল আবহাওয়ায় তুরস্ক–সিরিয়ায় ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। চারদিনে অনেককে জীবিত বের করে আনা গেলেও সময় বাড়ার সঙ্গে তা ক্ষীণ হয়ে আসছে। বেশির ভাগই উদ্ধার হচ্ছে লাশ। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টা পর্যন্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৫১ জনে। গত সোমবার ভোরের দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। গতকাল তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ
(এএফএডি) বলছে, সেদেশে নিহত বেড়ে ১৮ হাজার ৩৪২ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ২৪২ জনে। কর্তৃপক্ষ বলছে, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ৭৫ হাজার ৭৮০ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এক লাখ ২১ হাজার কর্মী উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে জড়িত। ভূমিকম্পের পর এক হাজার ৫০৯টি আফটারশক হয়েছে বলে জানিয়েছে এএফএডি। এদিকে, সিরিয়ায় অন্তত তিন হাজার ৩৭৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
ভূমিকম্পে দুই দেশেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু ভবন ভেঙে পড়েছে।
অনেকে ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর আগে বলেছিল, হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে। প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশ ত্রাণ ও সহযোগিতা নিয়ে এই দুর্যোগে এগিয়ে এসেছে।












