লাখ টাকায় প্রক্সির মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তবে মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষায় আর পার পাননি। ধরা পড়ে ঠাঁই হয়েছে থানা হাজতে। গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা চলছিল। সেখানেই লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়লে নিজাম উদ্দিন (২৯) নামে এক যুবককে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আটক নিজাম উদ্দিন মীরসরাইয়ের তারাকাটিয়া গ্রামের ওবাইদুল হকের ছেলে। তিনি জেলা পরিবার-পরিকল্পনা কার্যালয়ের পরিবার পরিকল্পনা সহকারী পদে নিয়োগ প্রার্থী ছিলেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস জানান, গত ১৮ নভেম্বর পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের চার পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয়। শনিবার লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।
মৌখিক পরীক্ষা শুরুর আগে প্রত্যেক প্রার্থীর হাতের লেখা লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের সঙ্গে মেলানো হয়। নিজাম উদ্দিনের হাতের লেখার সঙ্গে তার উত্তরপত্রের লেখার অমিল পাওয়া যায়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার হাজিরা শিটের সইয়েও গরমিল পাওয়া যায়। এসময় ভাইভা বোর্ডের সদস্যরা তাকে লিখিত পরীক্ষার কয়েকটি প্রশ্ন দিয়ে উত্তর লিখতে বলেন। কিন্তু নিজাম কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি।
পরে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আরেকজনের (প্রক্সির) মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন নিজাম। মীরসরাইয়ের লিটন চন্দ্র দাস নামে একজনের মধ্যস্থতায় ১ লাখ টাকার বিনিময়ে আরেক ব্যক্তি নিজামের স্থলে লিখিত পরীক্ষা দেন। জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করায় নিজামকে আটক করে কোতোয়ালী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তা।