অবশেষে ১৫ বছর পর প্রকাশ করা হলো চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও সূর্যসেন দুই ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষার্থীদের তালিকা। আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে হোস্টেলে উঠার জন্য যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করতে বলা হয়। ছাত্রাবাস দুইটিতে ৩০০ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। হোস্টেলে থাকার জন্য আসবাবপত্র, খাবারের খরচ শিক্ষার্থীদের বহন করতে বলা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকালে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এর আগে গত দুইদিন শিক্ষার্থীরা তালিকা প্রকাশের দাবিতে আন্দোলন করেন। দুটি ছাত্রাবাস খোলার কথা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ে তা না খোলার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো গতকালও বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করে। এর আগে গত সোমবার ছাত্রাবাসের তালিকা প্রকাশ করার কথা থাকলেও তা করেনি কর্তৃপক্ষ। যার কারণে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এ নিয়ে গতকাল দৈনিক আজাদীতে ‘১৫ বছর ধরে বন্ধ চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দুই ছাত্রাবাস’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। শিক্ষার্থী জানান, প্রশাসন আমাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তালিকা প্রকাশ করে ছাত্রাবাসে উঠার কথা দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা কথা রাখেননি। এর কারণ হলো ছাত্রদলের একটা অংশ ছাত্রাবাস না খোলার জন্য প্রশাসনকে চাপ দেন। এ জন্য প্রশাসন দেরি করেছে। এখন তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এতে খুবই খুশি। তবে আমরা সজাগ থাকবো। এ নিয়ে আবার কোনো নতুন ষড়যন্ত্র করলে আমরা আন্দোলনে নামবো। শিক্ষার্থীরা জানান, বাসা দূরে হওয়ার কারণে অনেক টাকা যাতায়াতে চলে যায়। তাছাড়া রাস্তাঘাটে যানজটের কারণে পড়াশোনার সময়ও নষ্ট হয়। তাই আমাদের ছাত্রাবাসে থাকা খুবই দরকার। ছাত্রাবাসে আসবাবপত্র, খাবার খরচসহ যাবতীয় ব্যবস্থা করবো মর্মে প্রশাসন ছাত্রাবাস খোলার ব্যাপারে রাজী হয়েছেন।
চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. ইয়াছিন আজাদীকে বলেন, দুই ছাত্রাবাসে আবাসিক শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে তাদের ভর্তি সম্পূর্ণ করতে বলা হয়েছে।