দৈনিক আজাদীর গতকালের সংখ্যায় ‘খাদ্য পরিবহন ঠিকাদার সমিতির সভাপতি পদে তিন প্রার্থীর উপস্থিতিতে ভোট পুনঃগণনার নির্দেশ’ শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খাদ্য পরিবহন ঠিকাদার সমিতির নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মাহবুব খান। প্রতিবাদপত্রে তিনি বলেন, ঠিকাদার সমিতি একটি অরাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক সংগঠন। এখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াত বা অন্য কোন রাজনৈতিক দলের কোন সম্পৃক্ততা নেই। সমিতির বিশেষ সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আমাদের ৯ (নয়) জনকে নির্বাচন কমিশন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
আমরা আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সততার সাথে পালন করে গত ৩০ নভেম্বর গোপন ব্যালটের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি। আমরা আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে জয়ী করার মতো যে অভিযোগটি তোলা হয়েছে তা অমূলক ও মানহানিকর। নির্বাচন কমিশনারগণ বিধি মোতাবেক নির্বাচনী যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। ভোট গণনার পর, ফলাফল ঘোষণার প্রস্তুতিকালে অপ্রত্যাশিত ভাবে সভাপতি পদের প্রার্থী এস এম আবু মনসুর নির্বাচনী কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোটের ফলাফল ঘোষণা বন্ধ করত: ভোট পুনঃগণনা করার জন্য তাৎক্ষণিক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিকট আবেদনপত্র দেন। পরিচালক, বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের নির্দেশনায় এবং আমরা নির্বাচন কমিশনারগণের সিদ্ধান্তে বিধি মোতাবেক ভোটের বাক্স সীলগালা করে রাখি। ইতোমধ্যে ১২ ডিসেম্বর সকাল ১১টা থেকে ভোট পুনঃগণনার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি। এতে তিনজন সভাপতি প্রার্থীর উপস্থিতিতে ভোট পুনঃগণনার কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রতিবেদকের বক্তব্য : বাংলাদেশ খাদ্য পরিবহন ঠিকাদার সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী একটি প্যানেল থেকে নির্বাচন কমিশনারের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। ওই প্যানেলের প্রার্থীদের পক্ষ থেকে সরকারের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগও করা হয়েছে। তারা তিন সভাপতি প্রার্থীর উপস্থিতিতেই ভোট পুনঃগণনার দাবি করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালকের দফতর থেকে গত ১০ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে তিন সভাপতি প্রার্থীর উপস্থিতিতে ভোট পুনঃগণনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দৈনিক আজাদী ওই সংবাদটি প্রচার করেছে। প্রকাশিত সংবাদে দৈনিক আজাদীর নিজস্ব কোন বক্তব্য নেই।