দৈনিক আজাদীর গত ২৫ অক্টোবর সংখ্যায় ‘চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব নারায়ণের ছেলের ফল বাতিল’ শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদের ব্যাপারে একটি ব্যাখা প্রদান করেছেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র নাথ। প্রকাশিত সংবাদে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে এমন জঘন্য একটি অভিযোগ দাঁড় করানো হয়েছে। প্রকৃত সত্য হলো, ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয় ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর। তখন আমি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ছিলাম না, আমি ছিলাম চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব। ফলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফলাফল জালিয়াতির যে অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে তা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং ভুল বার্তা পৌঁছাচ্ছে। কারণ পরীক্ষার ফলাফলের মূল দায়িত্বে থাকেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। তাই নিজের ছেলেকে জিপিএ–৫ পাইয়ে দেওয়ার যে অভিযোগ ওঠে তা মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত।’
তিনি আরো বলেন, বোর্ডের কার্যবিধি এবং পরীক্ষা আইন মোতাবেক পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো কাজে সচিবের কোনো এখতিয়ার নেই। সচিব পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুতকারী কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তাও নন। পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুতকারী কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা হচ্ছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার কাজ দীর্ঘ সময় ধরে চললেও ফলাফল প্রস্তুতের কাজ শুরু হয় ফলাফল প্রকাশের তারিখের ৭ থেকে ১০ দিন পূর্বে। আমি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদ হতে দায়িত্বভার অর্পণ করেছি ফলাফল প্রকাশের ৩৪ দিন পূর্বে। ফলে কার্যত ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুতে সচিব হিসেবে আমার প্রভাব বিস্তার করার কোনো সুযোগ ছিলো না। বোর্ডের পরীক্ষা আইন মোতাবেক কোনো কর্মকর্তা–কর্মচারীর সন্তান পরীক্ষার্থী থাকলে তাকে ওই পরীক্ষার গোপনীয় কাজ হতে বিরত থাকতে হয়। এ আইন মোতাবেক আমি ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সকল গোপনীয় কাজ হতে অব্যাহতি চেয়ে চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করি। আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে আমাকে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সকল গোপনীয় কাজ হতে অব্যাহতি দিয়ে অফিস আদেশ জারি করা হয় এবং সে মোতাবেক আমি ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সকল গোপনীয় কাজ হতে বিরত ছিলাম। পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত একটি গোপনীয় কাজ। তাই ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুতে আমার অংশগ্রহণ করারও কোনো সুযোগ ছিলো না।