দৈনিক আজাদীর প্রথম পৃষ্ঠায় গতকাল ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে তৃণমূলে ক্ষোভ : দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের অংশবিশেষের প্রতিবাদ জানিয়েছেন চন্দনাইশের ৪ নং বরকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং সদ্য ঘোষিত দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুর রহিম। অ্যাডভোকেট জিয়াউল হায়দার চৌধুরীর মাধ্যমে প্রেরিত প্রতিবাদপত্রে তিনি দাবি করেন, সংবাদে তার সম্পর্কে যা লেখা হয়েছে তা সত্য নয়। তিনি নিজেকে আওয়ামী পরিবারের সন্তান পরিচয় দেন।
তিন দশক ধরে প্রত্যক্ষভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত উল্লেখ করে মোহাম্মদ আবদুর রহিম বলেন, কোনো পদ–পদবির আশায় নয়, নিজের সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে আমি আওয়ামী লীগ করেছি। ১৯৯৬ সালের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর পক্ষে ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কর্নেল অলির রোষানলে পড়ে এবং মামলার আসামি হয়ে ফেরারি জীবনযাপনে বাধ্য হয়েছিলাম। কুচক্রি মহল জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে আমি জামায়াত–শিবিরের রাজনীতি করি বলে যে প্রপাগান্ডা চালিয়েছে তা পুরোপুরি মিথ্যা।
তিনি বলেন, আমার নির্বাচনকালীনও নানাভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। পরে দলীয় হাই কমান্ড সবকিছু তদন্ত করে আমাকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে। আমি দলের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে কাজ করছি; যার ফলশ্রুতিতে আমাকে দক্ষিণ জেলার ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য : দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ক্ষোভ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের স্ট্যাটাসের ওপর ভিত্তি করে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে আজাদীর নিজস্ব কোনো বক্তব্য ছিল না।