প্রকাশিত ছবির দুজন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

সাতকানিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতা ।। আত্মগোপনে থাকাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত, ২৩ মামলায় গ্রেপ্তার ৫১

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় অস্ত্রসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাতে জেলা গোয়েন্দা ও থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. শামসুদ্দিন ওরফে নিশান (২০) ও জয়নাল আবেদীন ওরফে লেদাইয়া (৪৭)। চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক গতকাল সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি সাতকানিয়ায় ভোটের দিন সকালে খাগরিয়া ইউনিয়নের ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডের দুটি কেন্দ্রের বাইরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই সহিংসতার ঘটনার পর আসামিদের ধরতে চট্টগ্রাম ও আশেপাশের জেলায় পুলিশ অভিযান শুরু করে। খাগরিয়া ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় সর্বশেষ দুজনকে গ্রেপ্তার করে অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ নোয়াখালীর চরজব্বার উপজেলার চরক্লার্ক গ্রাম থেকে গত রোববার রাতে সামশুদ্দিন নিশান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সাতকানিয়ার খাগরিয়া ইউনিয়নের জোড়ারকূলে নির্মাণাধীন একটি ঘরের ভেতরে লুকিয়ে রাখা একটি এলজি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া সাতকানিয়া থানা পুলিশ উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আমিরখীল গ্রাম থেকে জয়নাল আবেদিন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। তার বসতঘরে তল্লাশি করে একটি একনলা বন্দুক ও ২টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
এসপি রাশিদুল হক বলেন, গ্রেপ্তার দুজনকেই ভোটের দিন অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখা গেছে। তাদের ছবিও গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। সংঘর্ষের পর জড়িতরা বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেছে। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। তাদের দেখানো মতে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্রগুলো তাদের নিজেদের নাকি কেউ সরবরাহ করেছে সেটা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে বের করা হবে।
সাতকানিয়া উপজেলায় ভোটের দিন অস্ত্রবাজি করে যারা আইন-শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটিয়েছিল তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান এসপি রাশিদুল হক।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে খাগড়িয়া ইউনিয়নের গণিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খাগরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির পর ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সহিংসতায় নিহত হয় এক কিশোরসহ দুজন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, সাতকানিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় ২৩টি মামলা হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি মামলা শুধুমাত্র ভোট গ্রহণের দিন সহিংসতার ঘটনায় দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে হত্যাসহ সাতটি মামলা ভোটের দিনের সহিংসতার ঘটনায় হয়েছে। নিশান ও জয়নালের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ আলাদা দুটি মামলা করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএকজন খুন বাড়িতে আগুন
পরবর্তী নিবন্ধশিক্ষাবোর্ডের তদন্ত কমিটি, থানায় জিডি