প্রকল্প ‘এ’ ক্যাটাগরির করতে সিডিএর প্রস্তাব

কালুরঘাট-শাহ আমানত সেতু সড়ক

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ৪:০৭ পূর্বাহ্ণ

নগরীর কালুরঘাটশাহ আমানত সেতু সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি ‘সি’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প। প্রকল্পটিকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা না হলে পাঁচ হাজার ছয়শ কোটি টাকার জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সুফল পুরোপুরি পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে জরুরি পত্র পাঠিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)

কালুরঘাট থেকে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত নদীর পাড় ধরে একটি সড়ক নির্মাণের প্রকল্প নেয় সিডিএ। প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছে। সাড়ে আট কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি নগরীর আউটার রিং রোডের অংশ ছাড়াও বেড়িবাঁধ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। শহরের বিস্তৃত এলাকার জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ছাড়াও আবাসন এবং পর্যটনে এটি ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা বলেছেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিচালিত একটি প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট কালুরঘাটআমানত সেতু সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি সাধারণ প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সরকারের তালিকায় ‘সি’ (নিম্ন অগ্রাধিকার প্রকল্প) ক্যাটাগরিতে থাকা এই প্রকল্পটির অর্থ সংস্থান থেকে শুরু করে সবকিছুই ‘সি’ ক্যাটাগরিতে হচ্ছে। এতে করে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আর্থিক সংকটসহ নানামুখী সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সিডিএকে। এ বিষয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে জরুরি পত্র পাঠিয়েছেন। প্রকল্পটির গুরুত্ব তুলে ধরে এটিকে ‘সি’ থেকে ‘এ’ (উচ্চ অগ্রাধিকার প্রকল্প) ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। পত্রে উল্লেখ করা হয়, প্রকল্পের আওতায় ৮.৫০ কিমি বাঁধকাম রাস্তা, চট্টগ্রাম শহর থেকে কর্ণফুলী নদীতে পড়া ১২টি খালের মুখে পাম্প ও বোটপাসসহ (নৌকার যাতায়াত) ১২টি রেগুলেটর নির্মাণ এবং স্লোপ প্রটেকশন কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই প্রকল্পটি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, বঙিরহাট, বৃহত্তর বাকলিয়া, চান্দগাঁও ও কালুরঘাট ভারী শিল্প এলাকাসমূহ বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা পাবে। এছাড়া শহরের আউটার রিং রোডের একটি অংশ হিসেবে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

উল্লেখ্য, প্রকল্পটির প্রাক্কলিত অনুমোদিত ব্যয় ২ হাজার ৩শ ১০ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।

চিঠিতে আরো বলা হয়, প্রকল্পটির আওতাধীন ১২টি রেগুলেটর নির্মিত হলে অতি বৃষ্টিতে কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের পানিতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, বঙিরহাট, বৃহত্তর বাকলিয়া, চান্দগাঁও ও কালুরঘাট ভারী শিল্প এলাকা পানিতে প্লাবিত হবে না। এছাড়া শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রকল্পটির কাজ শেষ না হলে অতি বৃষ্টিতে জোয়ারের সময় খালসমূহ দিয়ে জোয়ারের পানি শহরে প্রবেশ করবে। এতে করে জলাবদ্ধতা নিরসনে সুফল পাওয়া যাবে না।

চিঠিতে জানানো হয়, প্রকল্পের আওতাধীন ১২টি রেগুলেটরের মধ্যে চাক্তাই খাল, রাজাখালি খাল, বলিরহাট, নোয়া খালসহ ৮টি রেগুলেটরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এগুলোর কাজ আগামী বর্ষার আগে সমাপ্ত করা প্রয়োজন। বিষয়টি নিশ্চিত করতেই প্রকল্পটিকে ‘সি’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে সিডিএর চিফ ইঞ্জিনিয়ার কাজী হাসান বিন শামস বলেন, আমরা যে রেগুলেটরের নির্মাণের কাজ ধরেছি সেগুলোসহ বাকি কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য প্রকল্পটিকে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি। এটিকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা না হলে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সুফল পুরোপুরি পাওয়া যাবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাদক কারবারিদের নতুন তালিকা হবে
পরবর্তী নিবন্ধশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত খুব শিগগিরই : শিক্ষামন্ত্রী